ওভেন থেকে গ্যাস লিক করছিল সোমবার। তাই রান্না হয়নি। পড়ুয়াদের দেওয়া হয় মুড়ি-চানাচুর। একদিন পর আজ মঙ্গলবারও মিডডে মিলে একই মেনু। বালির জোড়া অশ্বত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সাম্প্রতিক কালে মিডডে মিল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক স্কুল। সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন অশ্বত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। জানা গেছে, গতকাল রান্নার সময় আচমকাই ছড়িয়ে পড়ে গ্যাসের কটু গন্ধ। রাঁধুনিরা জানান, ওভেন থেকে গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি ওভেন বন্ধ করে দেন তাঁরা। রান্না হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের দুপুরে ভাতের বদলে মুড়ি চানাচুর খেতে দেওয়া হয়। তাই খেয়েই খিদে মেটায় সবাই।
কিন্তু আজও দুপুর হতেই ভাতের বদলে পড়ুয়াদের ভাতের থালায় বেড়ে দেওয়া হয় মুড়ি আর চানাচুর। বিষয়টা জানাজানি হতেই ক্ষোভ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে। জানা যায়, ওভেন মেরামতি হয়নি। তাই রান্নাও হয়নি। বিকল্প খাবারের ব্যবস্থাও হয়নি। দুপুরবেলা মুড়ি চানাচুরে কি পেট ভরে? সেই ভাবনা ভাবেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। আশেপাশের লোকজনই এরপর কেক কিনে এনে খাওয়ান বাচ্চাদের। কেন দু দিন ধরে বাচ্চাদের খাবারে বিকল্প ব্যবস্থা হল না, তোলেন সেই প্রশ্নও।
প্রথমে মুখ খুলতে রাজি না হলেও পরে স্কুলের প্রধানশিক্ষক মানস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল আমি স্কুলে ছিলাম না। তাই একটু গন্ডগোল হয়েছে। গ্যাস ওভেন সারাতে পাঠানো হয়েছে। সেটা আজ পাওয়া যায়নি। তাই রান্না হয়নি। আগামীকাল থেকে আবার সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই হবে।”
এই আশ্বাসে ভরসা রেখেই আজ মুড়ি চিবিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে স্কুলের প্রায় শ’খানেক পড়ুয়া।