চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিয়ো-কাণ্ডে নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এল। এই ঘটনায় যে ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করতেন ধৃত দুই যুবক! এমন অভিযোগই করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিয়ো তৈরি করে তা নেটমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক ছাত্রী, তাঁর ২৩ বছর বয়সি ‘প্রেমিক’ ও ৩১ বছর বয়সি এক যুবক। সূত্রের খবর, হস্টেলের স্নানাগারে ছাত্রীদের ভিডিয়ো না তুলে পাঠালে তাঁর ব্যক্তিগত ভিডিয়ো ভাইরাল করা হবে বলে ধৃত ছাত্রীকে ‘হুমকি’ দিতেন ওই দুই যুবক। পুলিশ সূত্রে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের হস্টেলের এক আবাসিক অন্য আবাসিকদের আপত্তিকর ভিডিয়ো তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য ভিডিয়ো করার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ভিডিয়োগুলি নেটমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, এর জেরে আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি করা হয়। গত শনিবার রাত থেকে এই অভিযোগ ঘিরে হুলস্থুল পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। যদিও পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, একটি ভিডিয়োই ফাঁস হয়েছে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা কোনও ছাত্রী করেননি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মধ্যরাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। সোমবার রাতে সেই বিক্ষোভ থামে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ সি ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারাও যোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে এক ছাত্রীকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরই তাঁর ২৩ বছর বয়সি এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছাত্রীর ‘প্রেমিক’ বলে দাবি করা হয়েছে। ওই যুবকের এক বন্ধুকেও (৩১) পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃত তিন জনের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতরা বর্তমানে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।