শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল ইডি। নজিরবিহীনভাবে ১৭২ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে একেবারে ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি নিয়ে আসা হয় আদালতে। তদন্ত শুরুর ৫৮দিনের মাথায় এই চার্জশিট জমা দেওয়া হল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কী রয়েছে এই চার্জশিটে?
ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। যে কোম্পানিগুলির মাধ্যমে বিপুল টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল সেই কোম্পানির নামও তুলে ধরা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে কোর্টকে জানানো হচ্ছে ১০৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকার নগদ ও সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর সঙ্গেই ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে। যেখানে টাকার পরিমাণ প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। অর্পিতা ও পার্থর মধ্যে যে সরাসরি যোগসূত্র ছিল অর্থাৎ দুর্নীতিতে একে অপরের পার্টনার ছিলেন দুজনেই সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকার সঙ্গে পার্থর যে যোগসূত্র রয়েছে সেব্যাপারেও ইঙ্গিত রয়েছে চার্জশিটে। ৪০টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০.৩৩ কোটি টাকা।
একাধিক ভুয়ো কোম্পানির নাম করে টাকা লেনদেন করা হত বলে অভিযোগ। যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার ছবিও যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ফার্ম হাউস থেকে ফ্ল্যাট সবই রয়েছে।
এদিকে এর আগে পার্থকে মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করেছিল সিবিআই। এবার ইডির চার্জশিটেও নিশানা করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।