ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ অগস্ট। সেদিন এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর থেকে ইউকের লেস্টারশায়ারে ক্রমেই সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সামনে আসতে থাকে। ভাঙচুর চলে হিন্দু মন্দিরে, গেরুয়া পতাকা নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনা ঘিরে তীব্র সমালোচনা করেছে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।
দূতাবাস একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যেভাবে লেস্টারে ভারতীয়দের ওপর হামলা হচ্ছে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে তার কড়া নিন্দা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের নানান প্রতীক ও ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুরের নিন্দা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ইউকে প্রশাসনের সঙ্গে ভারত বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সত্ত্বর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ’ এছাড়াও যারা নির্যাতিত তাদের নিরাপত্তাও দাবি করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় দূতাবাস। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে ইউকের পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর। ধৃত দুজনের একজনের কাছে বিতর্কিত আর্টিক্যাল পাওয়া গিয়েছে, অন্যজন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইন্ধন যোগানোর ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে অভিযোগ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে হিংসা ছড়াল লেস্টারে! গ্রেফতার ২, তদন্তে পুলিশ
প্রসঙ্গত, এই দিনের ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রটতে থাকে যে লেস্টারে কোনও এক মসজিদ ভাঙা হয়েছে। যে ঘটনাতে মিথ্যা বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, আরও কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। যেখানে একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, হামলার ঘটনা উঠে আসে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক দিকে যায়।