লাভ জিহাদের ঘটনায় প্রথম সাজা ঘোষণা হল উত্তর প্রদেশে। এক মুসলিম যুবককে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই লাভ জিহাদ বিরোধী আইন করেন যোগী আদিত্যনাথ। সেই আইনেই মহম্মদ আফজল নামের যুবককে সাজা দিল জেলা পকসো আদালত।
হাসানপুর-গজরৌলা সড়কে এক ব্যবসায়ীর নার্সারী রয়েছে। ব্যবসায়ীর গাড়ি চালাত মহম্মদ আফজল নামে এক তরুণ। সে নার্সারির মালিকের বছর ষোলো বয়সি মেয়েকে নিয়ে দিল্লি পালিয়ে যায়। অভিযোগ, মেয়েটির কাছে আফজল নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়। পরে মেয়েটি ওই তরুণের ধর্ম পরিচয় জানার পর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অস্বীকার করে।
আফজল কিশোরীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে এবং তাকে দিল্লি নিয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, আফজল মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করলেও সে বিরোধিতা করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের দু’ জনকেই দিল্লি থেকে ধরে আনে। আফজালের বিরুদ্ধে ধর্ম লুকিয়ে বিয়ের ভান করার অভিযোগও করে ওই কিশোরী।
কিশোরীর বিবৃতির ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ধর্ম নিষেধাজ্ঞা অধ্যাদেশ ২০২০-র বিধান বলে এফআইআর দায়ের করে। জেলা পকসো আদালত আফজলকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে। প্রসঙ্গত, দাবি করা হয়, মুসলিম পুরুষদের অমুসলিম মহিলাকে বিয়ে করা করাও ধর্মান্তকরণেরই একটি প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করা হয়। এই প্রবণতা থামাতেই লাভ জিহাদ বিরোধী আইন চালু করা হয়। উত্তরপ্রদেশের দেখাদেখি বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য একই ধরনের আইন করেছে।