আন্তর্জাতিক আদালতে চাপের মুখে পড়ে আবশেষে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়েছে কুলভূষণ যাদবকে। সোমবারই তাঁকে সেই অ্যাকসেস দেওয়া হয়। ভারতের প্রাক্তন নেভি অফিসার কুলভষণ পাকিস্তানে বন্দি হওয়ার পর এদিনই প্রথম তাঁর সঙ্গে ভারতের কোনও আধিকারিককে দেখা করতে দেওয়া হয়। এরপরই কুলভূষণের সম্পর্কে রিপোর্ট দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
সোমবার কুলভূষণের সঙ্গে কথা বলার পর ভারতীয় হাই কমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়া বলেন, পাকিস্তানের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন কুলভূষণ। তাঁকে যে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হচ্ছে, তা তাঁর মিথ্যা বিবরণ থেকে স্পষ্ট।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁকে দেখেই মনে হয়েছিল তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তাঁকে মানসিক চাপে রাখা হয়েছে। তাঁর চোখে-মুখে ফুটে রীতিমত আতঙ্কের ছাপ। তিনি যে ভালো নেই, সেটা বেশ বুঝতে পেরেছেন ভারতীয় অফিসাররা।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, যাদবের উপর যে চাপ ছিল তা স্পষ্ট। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছ থেকে বিশদ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ন্যায়বিচারের আবেদন জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রবিবারই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানিয়ে দেন আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মেনে সোমবার কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়া হবে কুলভূষণকে৷ ভারত সেই প্রস্তাব মেনে নেয়৷ সোমবারই পাকিস্তানে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়ার কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পৌঁছন তিনি৷
উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে কুলভূষণ যাদবের কনসুলার অ্যাকসেস চেয়ে আসছে ভারত৷ কিন্তু তা মানতে চায়নি পাকিস্তান। পরে আন্তর্জাতিক আদালতে মুখ পোড়ে পাকিস্তানের। জানিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে অবশ্যই কনস্যুলার অ্যাকসেস দিতে হবে।
এরপর কুলভূষণের কনসুলারের অ্যাকসেসে ছাড় দেয় পাকিস্তান৷ তবে বলা হয় পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী এই অ্যাকসেস দেওয়া হবে৷ তবে সেই শর্তে রাজি ছিল না নয়াদিল্লি৷ ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় শর্তহীন কনসুলার অ্যাকসেস চায় তারা৷ সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল পাকিস্তান।