নবান্ন অভিযানে দলীয় কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এবার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিতে বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। কারা থাকছেন কমিটিতে? ব্রিজলাল, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সুনীল জাখড় ও সমীর ওঁরাও। রাজ্যের আসবেন তাঁরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে।
২০২০-র সালে পর ফের নবান্ন অভিযান করল বিজেপি। মঙ্গলবার তিন দিক থেকে মিছিল করে নবান্নে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষেরা। পুলিসের অনুমতি ছিল না। বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। দফায় উত্তেজনা ছড়ায় সাঁতরাগাছি। কলেজ স্ট্রিট ও লালবাজারে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। সঙ্গে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাস। আটক করা হয় শুভেন্দু, লকেট ও সুকান্তকে।
বিজেপি নবান্ন অভিযান তখন শেষ। সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে ছাড়া পান শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি’। আন্দোলনে কে বাধা? রাজ্যের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজেই বামেদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়েছেন, আজ তিনি তার বেশি অত্যাচার বিজেপির উপর করছেন। এটা কি তৃণমূলের অন্দরের সমস্যা? উত্তরাধিকার-সংঘাত চলছে? সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই কি বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচার’? এবার তদন্ত কমিটি গড়ল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।