কাজে খুশি না হওয়ায় পাঁচ অধস্তন পুলিশকর্মীকে থানার লক আপে ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছিল বিহারের এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল বিহার পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ অধস্তন পুলিশকর্মীকে লক আপে ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছে নওয়াদার পুলিশ সুপার গৌরব মাংলার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য মগধের আইজি বিনয় কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত ডিজি, সিআইডি অনিল কিশোর যাদব। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইজিকে। নির্দেশনামায় বলা হয়েছে যে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, নওয়াদার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে হবে।
ঠিক কী অভিযোগ?
ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ, ওই দিন রাত ৯টা নাগাদ নওয়াদার একটি থানায় যান পুলিশ সুপার গৌরব মাংলা। কোনও একটি ঘটনার তদন্তে কয়েক জন পুলিশকর্মীর গাফিলতি রয়েছে বলে তোপ দাগেন পুলিশ সুপার। তার পরই রেগে গিয়ে পাঁচ পুলিশকর্মীকে লক আপে ঢোকানোর নির্দেশ দেন। তবে ঠিক কী গাফিলতি ছিল এবং পুলিশ সুপার ঠিক কী বলেছিলেন, তা জানা যায়নি। লক আপে বন্দি পাঁচ পুলিশকর্মীর একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় সে রাজ্যের পুলিশ মহলে।
যে পাঁচ পুলিশকর্মীকে লক আপে ঢোকানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে তিন জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ও দু’জন সাব-ইনস্পেক্টর। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাঁদের লক আপে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।