ফের লাভ জিহাদ। এবার রাজধানী দিল্লিতে। হিন্দু যুবতীকে মিথ্যে পরিচয়ে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন মুসলিম যুবক। বিয়ের পর জানাজানি হতেই শুরু হয় অত্যাচার। যুবতীকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য শুরু হয় চাপের খেলা। পরে ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মুসলিম ব্যক্তি ইরশাদ আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইরশাদ আলি পেশায় আইনজীবী। দিল্লীর জ্যোতি নগর এলাকার বাসিন্দা। ২০১১ সালে ওই হিন্দু তরুণী ইরশাদ আলির কাছে ইন্টার্নশিপ করতে যান। তরুণীর অভিযোগ, সেই সময় ইরশাদ নিজেকে গুড্ডু চৌধুরী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। এমনকি নিজেকে হিন্দু প্রমান করতে ইরশাদ নিজের হাতে মা দুর্গার ট্যাটু করায়। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ২০১৫ সালে দুজনে বিয়ে করেন।
তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের পরে কয়েক বছর দুজনে সংসার করলেও তিনি বুঝতে পারেননি যে তাঁর স্বামী আসলে মুসলিম ধর্মাবলম্বী। পরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁর স্বামী হিন্দু নন। তাঁর আসল নাম ইরশাদ আলি। এ কথা জানাজানি হওয়ার পরই তাঁর উপরে নেমে আসে অত্যাচার। প্রায়শই তাকে মারধর করা হত, ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত। ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হলে চলতো বেধড়ক মারধর। বেশ কিছু মাস পর সেই অত্যাচার অসহ্য হয়ে ওঠে। তখন বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান ওই তরুণী।
এরই মাঝে হঠাৎই একদিন তাকে ভোপালে নিয়ে যায় ইরশাদ। সেখানকার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় একটি ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। তরুণীর অভিযোগ, ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর চলে নির্মম অত্যাচার। তাকে নগ্ন করে ভিডিও রেকর্ড করতো ইরশাদ। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করলে সেই সব ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিত।