খ্রিস্টান হতে রাজি হননি, হিন্দু যুবককে খুন করে ঝুলিয়ে দিল প্রেমিকার পরিবার, গ্রেফতার ৩

খ্রিস্টান মেয়ের সঙ্গে প্রেম। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্ম বদলে খ্রিস্টান হতে রাজি হননি। তার জেরেই হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল খ্রিস্টান প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। আসামের লখিমপুরের বালিজান এলাকার স্থানীয় চার্চের মদতেই ভিকি বিশাল নামে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ওই যুবকের পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকি বিশালের সঙ্গে গ্রামের এক খ্রিষ্টান তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের এই সম্পর্কে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল তরুণীর পরিবারের। ১১ সেপ্টেম্বর ভিকি ওই তরুণীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

ভিকির পরিবারের অভিযোগ, পরেরদিন অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীর আত্মীয় এবং স্থানীয় লোকজন বাড়িতে আসে। তাঁরা হুমকি দিয়ে বলে যে হয় ওই তরুণীকে ফেরত দিতে হবে নতুবা ভিকিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে হবে। এসবের মধ্যে ওই দিন বিকেলে খ্রিস্টান প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ভিকি।

পরের দিন অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর, ফের ওই তরুণীর পরিবার ও স্থানীয় চার্চের লোকজন ভিকির বাড়িতে আসে। সেখানে ভিকিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ভিকি রাজি না হওয়ায় সেখানে এক প্রস্থ বচসা হয়। সেই সময় বিকিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যায় তরুণীর পরিবার লোকেরা।

১৩ সেপ্টেম্বর, রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ভিকি। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ছুটে যান পরিবারের লোকেরা। পরিবারের অভিযোগ, বিকির সারা শরীরে মারধরের আঘাত ছিল। ঘাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁর খ্রিস্টান প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.