মুসলিম তরুণীর সঙ্গে প্রেম ছিল হিন্দু যুবকের। দুজনে বিয়ে করতে চেয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দীপক বারদেকে খুন করে মৃতদেহ নদিতে ভাসিয়ে দিলেন প্রেমিকা সানিয়া শেখের পিতা ও তাঁর আত্মীয়রা। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের ঘটনায় সানিয়ার বাবা মজনু শেখ সমেত মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দীপক বারদে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত ভোকার গ্রামের বাসিন্দা। পাশের গ্রামের মজনু শেখের কন্যা সানিয়ার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকে আপত্তি ছিল সানিয়ার পরিবার ও আত্মীয়দের। কিন্তু তা সত্বেও দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
দীপকের পিতা রাওসাহেব বারদে জানান, গত ৩১ আগস্ট সানিয়াকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন দীপক। কিন্তু প্রথমে দুই একদিন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও কয়েকদিন পর থেকে আর দীপকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাঁর, জানিয়েছেন দীপকের পিতা। তারপরই শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ সানিয়ার পিতা মজনু শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় ধৃতরা জানায় যে, সম্পর্ক মেনে নেওয়ার টোপ দিয়ে সানিয়া ও দীপককে ডেকে আনেন তাঁরা। তারপর দীপককে বেঁধে একটি ঘরে রাখা হয়। তারপর চলতে থাকে বেধড়ক মারধর। অতিরিক্ত মারধরের কারণে মৃত্যু হয় দীপকের। শেষে দীপকের মৃতদেহ গোদাবরী নদীতে ফেলে দেন তাঁরা।