রাজ্যে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যকে ‘অতিস্পর্শকাতর’ ঘোষণা করে লোকসভা ভোট পরিচালনা করুক নির্বাচন কমিশন। এই দাবিতে বুধবার দিল্লিতে কমিশনের সদর দপ্তর নির্বাচন সদনে আবেদন জানাল বিজেপি। দলের তরফে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জয়প্রকাশ নাড্ডা, রবিশংকর প্রসাদ, নির্মলা সীতারামন এদিন কমিশনের অফিসে গিয়েছিলেন। কমিশনের কর্তাদের তাঁরা জানান, সিবিআই তল্লাশির পর ধর্মতলার ধরনায় রাজ্য প্রশাসনের তাবড় শীর্ষকর্তাদের দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনেই রাজ্যে শতাধিক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। লোকসভার মতো হেভিওয়েট নির্বাচনে সংখ্যাটা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অসম্ভব। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, রাজ্যের গণমাধ্যমগুলোও সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমগুলোর ভীতি দূর করতে রাজ্যে ‘মিডিয়া পর্যবেক্ষক’ নিয়োগেরও দাবি বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে রবিশংকর প্রসাদ জানান, কমিশন তাঁদের অভিযোগগুলো গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, এর আগে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর রিপোর্টও কমিশনে জমা পড়েছে। যার ভিত্তিতেই নাকি এবার রাজ্যে সাত দফায় ভোট হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজ্যে কোনও অশান্তি নেই। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা দিল্লিতে কমিশনে কাছে এমনই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তার পরও বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। আর, ভিনরাজ্য থেকে লোক এনে এরাজ্যে গোলমাল পাকাচ্ছে। ফিরহাদ বলেন, ‘বিজেপির দাবি মানলে মনে করতে হবে যে, কমিশন নিরপেক্ষ নয়।’