নারদে ডাক, নিজাম প্যালেসে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও আইপিএস মির্জা

নারদ কাণ্ডে মোট দশজনের ভয়েস স্যাম্পল নেওয়ার জন্য তলব করেছিল সিবিআই। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে হাজিরা দিয়ে এসেছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজাম প্যালেসে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অবিভক্ত বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জা। দু’জনকেই ওই স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছিল। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে যান সুব্রতবাবু। তার কিছুটা পরেই সিবিআই দফতরে পৌঁছন আইপিএস মির্জা।

ফুটেজে যাঁদের দেখা গিয়েছিল, তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ফিরহাদ হাকিম এবং মুকুল রায় এসে কণ্ঠস্বরের নমুনা দিয়েও গিয়েছেন। 

আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকেও তলব করেছে সিবিআই। কয়েকদিন আগে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল গোয়েন্দাদের দল। এর মধ্যে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রকেও তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁরা সিবিআই দফতরে যাননি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সাংসদ শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিন পনেরো সময় চেয়েছেন গোয়েন্দাদের থেকে।

গত সপ্তাহেই দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় নারদ স্টিং-এর সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল এবং তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিং-কে। থু নাকি ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখে জানিয়েছিলেন, পুরো স্টিং অপারেশনের ফান্ডিং এসেছিল কেডি সিং-এর সংস্থা অ্যালকেমিস্টের থেকে। প্রসঙ্গত, এই চিটফান্ড দুর্নীতিতেও নাম রয়েছে অ্যালকেমিস্টের। নারদ  তদন্ত শুরু থেকে করছিল ইডি। কিন্তু পরে সিবিআই-ও এই তদন্তে নামে। একাধিকবার ম্যাথুকে ডেকে জেরা করে সিবিআই ও ইডি।

মাস দেড়েক আগেও কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ম্যাথু। সব মিলিয়ে এই তদন্তে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। যে দশজনকে সিবিআই ভয়েস স্যাম্পলের জন্য তলব করেছিল, তাঁদের মধ্যে তিনজন হাজিরা দিলেন। প্রসূন, সুব্রত এবং মির্জা। এখন দেখার বাকি সাতজন কবে যান সিবিআই অফিসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.