ভাঙতে হবে দুষ্কৃতী এবং অপরাধীদের চক্র! দিল্লি-সহ দেশের ৬০ জায়গায় অভিযানে এনআইএ

ইডি থেকে সিবিআই— বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু অবিজেপিশাসিত রাজ্যেই এজেন্সিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ ব্যবহার করছে মোদী সরকার। এই প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে এল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অভিযানের কথা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সারা দেশে অন্তত ৬০টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিভিন্ন অপরাধীর গ্যাং এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে এই পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে কুখ্যাত দুষ্কৃতী নীরজ বাওয়ানা এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।

উল্লেখ্য, দেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় উপরের দিকেই থাকে নীরজ এবং লরেন্সের নাম। সম্প্রতি পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে উঠে এসেছে তাঁদের নাম। লরেন্সকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তার পর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গত ১০ বছর ধরে হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তার। অন্য দিকে, দিল্লির কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত নাম নীরজ। তবে তাঁর দলের সঙ্গে বিষ্ণোইয়ের দলের সব সময় লড়াই চলে। এই দুই দুষ্কৃতী দলের কোমর ভাঙতে এনআইএ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবের এখন অভিযানে গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারত এবং বিদেশের বিভিন্ন কারাগারের ভিতর থেকেও পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন দুষ্কর্ম। এমন গ্যাংগুলির বিরুদ্ধে দমন করার জন্য এনআইএ সক্রিয় হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন গোল্ডি ব্রারের মতো ‘গ্যাংস্টার’, যে দলের সদস্যরা কানাডা থেকে সিধু মুসেওয়ালা হত্যার সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.