হট স্প্রিং-গোগরায় সেনা পিছোনো সোমবার শেষ! নয়াদিল্লির নজর এ বার পূর্ব লাদাখের অন্যত্র

গোগরা-হট স্প্রিং এলাকার পর এ বার পূর্ব লাদাখের অবশিষ্ট বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে চিনা সেনা সরানোর বিষয়ে সক্রিয় হচ্ছে নয়াদিল্লি। সরকারি সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসকালেশন)-এর বিষয় নিয়ে ভারতীয় সেনা এবং চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র কোর কমান্ডার স্তরের পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এলএসির যে সব ‘সংঘর্ষ বিন্দুতে’ এখনও চিনা সেনার উপস্থিতি রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত সেনা সরানোর জন্য গত ১৭ জুলাই কোর কমান্ডার স্তরের ১৬তম বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে আলোচনার পরে গোগরা-হটস্প্রিং (পেট্রলিং পয়েন্ট-১৫) থেকে পরিকল্পিত ভাবে সেনা পিছিয়ে নেওয়ার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী শুক্রবার বলেন, ‘‘আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর্ব শেষ হবে।’’

এই পদক্ষেপ সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে দু’পক্ষই। সেনা সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে ডেমচক এবং প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়ার কিছু অংশে ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং ‘ডিএসকালেশন’ নিয়ে আলোচনা হবে। ফিঙ্গার এরিয়ার কিছু অংশে আগেই ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম অন কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড কনসাল্টেশন’ বৈঠকের ভিত্তিতে সেনা সংখ্যা কমানো এবং মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে এলএসি-তে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপের জেরে আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.