এক সিবিআই আধিকারিকের আত্মহত্যার ঘটনাকে টেনে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্র্রী মণীশ সিসৌদিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুললেন। সিসৌদিয়ার অভিযোগ, তাঁকে ‘ফাঁসাতে’ চাপ দেওয়া হয়েছিল ওই আধিকারিককে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সিসৌদিয়ার প্রশ্ন, কেন এত চাপ দেওয়া হয় আধিকারিকদের?
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন সিসৌদিয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য এক জন সিবিআই আধিকারিককে চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি চাপ সহ্য করতে পারেননি। আত্মহত্যা করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই, এক জন আধিকারিককে কেন এত চাপ দেওয়া হচ্ছে, যে তিনি এ ধরনের চরম পদক্ষেপ করছেন?’’
গত সপ্তাহে সিবিআইয়ের ডেপুটি আইনি উপদেষ্টা জিতেন্দ্র কুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর দক্ষিণ দিল্লির বাড়ি থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। গত মাসেই মণীশের দিল্লির বাসভবনে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সিসৌদিয়ার দাবি, ওই তল্লাশির সঙ্গে সিবিআই আধিকারিক জিতেন্দ্র কুমারের আত্মহত্যার যোগ রয়েছে। যদিও সিবিআই জানিয়েছে, মণীশের বাড়িতে যে তল্লাশি অভিযান চলে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, তার কোনও কিছুর সঙ্গেই জিতেন্দ্রর যোগ ছিল না।
গত নভেম্বরে নতুন আবগারি নীতি চালু করে দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। সেই নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মণীশের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। গত সপ্তাহে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে।
এই আবগারি নীতি নিয়ে কেজরী সরকারের দিকে আঙুল তুলে একটি ‘স্টিং ভিডিয়ো’ প্রকাশ করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র আঙুল তুলেছেন কেজরীর দল আম আদমি পার্টি (আপ)-র দিকে। সম্বিতের অভিযোগ, কেজরীবাল এবং মণীশকে কত টাকা কমিশন দিতে হয় দিল্লির মদের দোকানের মালিকদের, তা সকলের জানা দরকার। ব্যবসায়ীদের এই সংক্রান্ত আরও ভিডিয়ো করার পরামর্শ দিয়েছেন সম্বিৎ।
মণীশ এ সব অভিযোগ মানেননি। ভিডিয়ো প্রকাশের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সিবিআই আধিকারিকের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলেন।