শনিবার মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার একটি আদালত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুরেশ জৈন আর গুলবরাও দেবকর সমেত আরও ৪৬ জনকে ‘ঘরকুল” আবাস দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত করে ১০০ কোটি টাকার জরিমানা এবং তিন থেকে সাত বছরের সাজা শোনানো হয়।
বিশেষ বিচারক সৃষ্টি নীলকণ্ঠ সুরেশ জৈনকে সাত বছরের সাজা ঘোষণা করেন, আর ওনার উপরে ১০০ কোটি টাকার জরিমানাও লাগান। দেবকরের জন্য পাঁচ বছরের জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে, আর অন্যান্য দোষীদের তিন থেকে সাত বছরের জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে।
দোষীদের মধ্যে সুরেশ জৈন আর দেবকর ছাড়া পুরসভার কিছু প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং অফিসারের নামও আছে। আদালতের রায় ঘোষণা হওয়ার পরেই, ৪৮ জন দোষীকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়।
শিবসেনা নেতা জৈনকে মার্চ ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৯০ এর দশকে ২৯ কোটি টাকার ঘরকুল আবাস যোজনা দুর্নীতি হওয়ার সময় তিনি গৃহ রাজ্য মন্ত্রী ছিলেন। ন্যশানাল কংগ্রেস পার্টি (Nationalist Congress Party) এর নেতা দেবকরকে ২০১২ স্লাএ গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিন পাওয়ার আগে, তিনি তিন বছরের জেলের সাজা কাটিয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন।
ওনার উপর এক বিল্ডারের পক্ষ নেওয়া এবং ২৯ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জৈন যেই বিল্ডারের পক্ষ নিয়েছিল, তাঁকে ঘরকুল যোজনার মাধ্যমে বাড়ি বানানোর কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়েছিল। জলগাঁও এর প্রাক্তন মেয়র প্রবীণ গেডাম ২০০৬ সালে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। জলগাঁও এর বাইরের এলাকায় মোট ৫ হাজার ঘর বানানোর কথা ছিল, কিন্তু মাত্র ১৫০০ ঘর বানানো হয়েছিল।