এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে জড়িত ‘আরও বড় নাম’। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত প্রদীপ সিং, প্রসন্নকুমার রায় সিবিআই-এর জালে ধরা পড়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়, আরও বড় নাম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এই মামলায়। সিবিআই-এর আইনজীবীর যুক্তি শুনে আদালতের তরফে প্রদীপ সিংকে আরও সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। তদন্তকারীদের দাবি, চাকরি বিক্রির টাকা নিজে অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ পিএমএলএ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। শুনানিতে বিচারকের কাছে যে কোনও শর্তে জামিন চান পার্থ। তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেন, টাকা পার্থর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়নি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তছরূপের অভিযোগ আনা যায় না। পালটা ইডির আইনজীবী বলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরই। তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি গ্রেফতার চাকরির দালাল প্রসন্নকুমার রায়ের ৩টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেলেন গোয়েন্দারা। রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে প্রসন্নর ফ্ল্যাট, হোটেল ও রিসর্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দুর্নীতির টাকায় ২টো চা বাগান পর্যন্ত কিনে ফেলেছিলেন প্রসন্ন। তবে গোয়েন্দাদের অনুমান, আরও সম্পত্তি রয়েছে প্রসন্নর নামে। সেই সম্পত্তির খোঁজ পেতে নথি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রসন্নকে লাগাতার জেরা করছেন তাঁরা। ধৃত প্রদীপ সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রসন্নকে ধরেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বলাকা আবাসনে প্রসন্ন রায়ের পাশের ফ্ল্যাটেই থাকত প্রদীপ। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তোলার দায়িত্ব ছিল তার ওপর। টাকার বিনিময়ে নিয়োগের তালিকা তৈরি করত সে ও প্রসন্ন। এর পর তা ইমেইলে পাঠিয়ে দিত এসপি সিনহাকে। প্রদীপ ও প্রসন্নর তৈরি করা তালিকা অনুসারে নিয়োগপত্র তৈরি করাতেন এসপি সিনহা।