তুমকুরু জেলার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভয়াবহ ঘটনা। তিন বছরের একটি শিশু ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়। ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও তার সহযোগী শিশুর লিঙ্গতে দেশলাই কাঠি জ্বেলে পুড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। তার উরুর একাংশও পুড়ে গিয়েছে। দোষের বলতে সে প্যান্টে প্রস্রাব করে ফেলেছিল। এই ঘটনার কথা জেনে ক্ষোভে ফুঁসছে ওই শিশুর পরিবার।
মনে করা হচ্ছে ওই শিশুটি স্কুলে গিয়ে প্যান্টে প্রস্রাব করে ফেলেছিল। এরপর তাকে শিক্ষা দিতে এই ভয়াবহ পথ বেছে নেন কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও সহায়িকা। দেশলাই দিয়ে তার লিঙ্গ পুড়িয়ে দেয়। ইতিমধ্যে ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড রাইটস প্রোটেকশন ইউনিটকে এব্যাপারে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আধিকারিকরা ওই শিক্ষিকা ও তার সহায়িকার কাছ থেকে বয়ান নিয়েছে।
পুলিশও ইতিমধ্যে এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে আপাতত ওই শিশুর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, তিন বছরের একটি ছেলের উপর এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষিকাদের কি ছেলেপুলে নেই? বাচ্চাদের সঙ্গে ব্যবহার কীভাবে করতে হয় জানেন না, তাকে কে চাকরি দিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে? তিনি কোনও অভিযোগ থাকলে বাবা মাকে বলতে পারতেন। এভাবে কেউ করে? কী হবে এবার ওই বাচ্চার?
এভাবেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। প্যান্টে প্রস্রাব করে ফেলেছিল বলে এভাবে তার লিঙ্গতে ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাইছেন তাঁরা।