দুর্নীতির কারণেই বিরোধী দলগুলি এককাট্টা: মোদী

উন্নয়নের পথে সবথেকে বড় বাধা হল দুর্নীতি। আর তিনি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলি এককাট্টা হওয়ার চেষ্টা করছে বলে নরেন্দ্র মোদী আজ কোচির জনসভায় দাবি করলেন।

বিরোধীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কি নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেখতে পাচ্ছেন না? কর্নাটকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও সিবিআই-ইডি কোনও পদক্ষেপ করে না কেন?

আজ কংগ্রেস হলে কাল তৃণমূল, পরশু আম আদমি পার্টি হলে তার পরের দিন রাষ্ট্রীয় জনতা দল —প্রতি দিনই কোনও না কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে সিবিআই বা ইডির অভিযান, তল্লাশি চলছে। তাই সব বিরোধী দলই এক সুরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলছে। বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার প্রয়োজনের কথাও বলছেন অনেকে। বুধবারই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিহারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেছেন।

আজ মোদী বলেন, ‘‘আমি ১৫ অগস্টই লাল কেল্লা থেকে বলেছিলাম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের সময় এসে গিয়েছে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হতেই নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে কিছু দল খোলাখুলি সামনে চলে এসেছে। সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’’

মোদীর কথা শুনে তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কি নিজের দলের দুর্নীতি দেখতে পান না? তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা কোম্পানি খুলে ফুলেফেঁপে উঠছেন। উনি সংসদে রাফাল, পেগাসাস নিয়ে আলোচনা হতে দেননি। পিএম-কেয়ার্স তহবিল থেকে কোনও তথ্য প্রকাশ করতে চান না।’’ আম আদমি পার্টির বক্তব্য, কর্নাটকের ঠিকাদাররা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁদের প্রকল্পের টাকার ৪০% মন্ত্রী, অফিসারদের ঘুষ দিতে হচ্ছে। সেখানে কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপির এই দুর্নীতি রুখতে সব অ-বিজেপি দলকে এককাট্টা হতে হবে। নাগরিক সমাজকেও যোগ দিতে হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.