মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আম্পায়ার নো ডাকতেই ছুটে গিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন আসিথা ফার্নান্ডো ও মাহেশ থিকশানা। তিন ওভার আগেও যে জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিল তা তখন ঘোর বাস্তব। বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শেষ চারে উঠে তখন উল্লাসে মত্ত শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা। তখনই দেখা গেল, সাজঘরের সামনে নাগিন নাচ নাচছেন দলের ক্রিকেটাররা। সত্যিই তো, বদলা নিল শ্রীলঙ্কা। চার বছর আগের কলম্বোর অভিশাপ তারা ফিরিয়ে দিল দুবাইয়ে।
নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনালের কথা মনে পড়ে। ২০১৮ সালে সেই সেমিফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সে বার জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ জেতার পরে মাঠের মধ্যেই নাগিন নাচ (হাতের ভঙ্গি সাপের ছোবল মারার মতো করে নাচ) করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার পরে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও সেই একই ভঙ্গিতে নাচছেন। এই দৃশ্য বুঝিয়ে দিল, এক মাঘে শীত যায় না। যে যেমন করবে, তাকে ঠিক তেমনটাই সহ্য করতে হবে।
সে বার এই নাগিন নাচকে কেন্দ্র করে গ্যালারিতে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যেও ঝামেলা হয়েছিল। নিজেরে দেশে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা। পরে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ভারতের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীনেশ কার্তিক শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পরে গ্যালারিতে নাগিন নাচ নেচেছিলেন শ্রীলঙ্কার সমর্থকরা। সেটাও ছিল এক রকমের জবাব।
এ বার এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে থেকেই মৌখিক বিবাদে জড়িয়েছে দু’দল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ দলে মোটে দু’জন বোলার। তাই খুব একটা ভয় পাচ্ছেন না তাঁরা। পাল্টা বাংলাদেশ শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, তাও তো তাদের দু’জন বোলার রয়েছে। শ্রীলঙ্কার তো তাও নেই। এই মৌখিক আদানপ্রদানে খেলার উত্তাপ আগে থেকেই অনেকটা বেড়েছিল। খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নাচ বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশকে হারিয়ে তৃপ্তি খানিকটা বেশি হয়েছে তাঁদের।