কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পদক্ষেপ দেশে বিদেশে এত ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে যে তাবড় তাবড় বিশ্লেষকরাও হিসেব মেলাতে পারছেন না। যারা মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তারাও এই পদক্ষেপের পিছনে দলমত নির্বিশেষে সমর্থনের বহর দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে এই পরিবেশ যে একদিনে তৈরি হয়নি তা বুঝতে হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নিত্য নৈমিত্তিক কাজের দিকে নজর ঘোরাতে হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নিত্য শাখায় মূলত বালক শিশুদের জন্য যে সমস্ত খেলা হয় তার মধ্যে একটি নাম ‘কাশ্মীর কিসকা। খেলাটি আসলে মাটিতে চিহ্নিত করা গোড়ালি রাখার মতো একটি ছোটো জায়গা দখলের লড়াই। খেলা চলার সময় ধ্বনি ওঠে “কাশ্মীর কিসকা’ তার জবাবে সবাই চিৎকার করে বলে ‘হামারা। খেলাটি সাহস ও সরাসরি চ্যালেঞ্জের খেলা। যার বাহুবল ও কৌশল বেশি খেলা শেষে সেই জয়ী হয়।
আজ থেকে চল্লিশ বছর আগেও সঙ্ঘের শাখায় এই খেলাটি খেলতে দেখেছি। শাখার মাঠে কেন এই ধরনের খেলা হতো ছেলেবেলায় এটা না বুঝলেও কাশ্মীরকে যে আমাদের মুক্ত করতে হবে এই অনুভূতিটুকু হতো। কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারার কবল থেকে মুক্ত করে এলাকাটিকে দেশের মূলস্রোতের সাথে মেলানো সঙ্রে স্বয়ংসেবকদের কাছে নিত্য সাধনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। অনেকটা যেন ইজরায়েলিদের নিজের মাতৃভূমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে Next year in Jerusalem’ প্রতিজ্ঞা গ্রহণের মতো। ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহের শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা দেখে মনে হচ্ছিল উনিও হয়তো বালক। অবস্থায় দিনের পর দিন সঙ্ঘের শাখার মাঠে ‘কাশ্মীর কিসকা’ খেলেছেন এবং চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন অনেকবার। কাশ্মীর নিয়ে এই আবেগ বুঝতে হলে জীবনের অন্তিম লগ্নে ৩৭০ ধারার রাহুগ্রাস মুক্ত কশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে সুষমা স্বরাজের সর্বশেষ টুইটে চোখ রাখতে হবে যাতে তিনি লিখেছেন, *Thank you Prime Minister. Thank you very much. I was waiting to see this day in my life’। মনে রাখতে হবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতবাসীর এই আবেগের সঙ্গে কাশ্মীরবাসীর আত্মপরিচয় রক্ষার আবেগের সংঘাত কম নেই। কারণ ৩৭০ ধারা নামক বিশেষ সুবিধার আড়ালে এতদিন যা হচ্ছিল সেটা কাশ্মীরের প্রকৃত পরিচয় মুছে দিয়ে এলাকাটিকে ইসলামিক জেহাদের পৃষ্ঠভূমি হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যক্ষ লড়াই। ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে এই জনসমর্থন যে বছরের পর বছর ধরে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের সাধনার ফসল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভিতে একটি বিতর্কসভায় যোগদান করে পেশায় একজন সাংবাদিক, রাজনীতিক ও ভূতত্ত্ববিদ মুশাহিদ হুসেন জানান, ভারতে অনেক বিরোধিতার মাঝেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখিকা অরুন্ধতী রায়, রাজনৈতিক দল কংগ্রেস পাকিস্তানের ‘সমব্যথী। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের অবস্থার কীভাবে উন্নতি হবে তা জানতে চওয়া হলে মুশাহিদ হুসেন জানান, “ভারত অনেক বড়ো একটি দেশ আর সেই দেশে সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করেন না।”
তিনি তার বক্তব্যে আরও জানান, “কাশ্মীরের বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে ও শক্ত হাতে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটা একটা লম্বা যুদ্ধ। ভারত অনেক বড়ো দেশ। ভারতে অনেক মানুষই আছেন যারা পাকিস্তানের জন্য সমব্যথী। যেমন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখিকা অরন্ধতী রায়, রাজনৈতিক দল কংগ্রেস কমিউনিস্ট পার্টি ও দলিত পার্টি। গোটা ভারতবর্ষ মোটেও মোদীর সঙ্গে নেই।” একজন পাকিস্তানি পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলে বসে ভারতের যে সমস্ত ব্যক্তি ও দলকে পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা কিন্তু কেউ এই লেখা শেষ করা পর্যন্ত এই বক্তব্য খণ্ডন করেনি।
বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তান সম্পূর্ণ একা। পাকিস্তানের আবেদনের উত্তরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্পষ্ট করে দিয়েছে দ্বিপাক্ষিক বিষয় হিসেবে কাশ্মীর ইস্যু ভারতের সঙ্গে কথা বলেই মিটিয়ে নিতে হবে। রাশিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া-সহ ইসলামিক দেশগুলির কেউ পাকিস্তানের পাশে নেই। এই সমস্ত দেশ মনে করে কাশ্মীরে ভারত যা করেছে তা ভারতীয়। সংবিধান মেনেই করেছে। সমস্ত বিশ্বে পাকিস্তানের পাশে যে কেউ নেই একথা ওই দেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেই জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পকিস্তানের একমাত্র সহায় ভারতের সেই সমস্ত দল ও ব্যক্তি যাদের পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলে মুশাহিদ হুসেন পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’ বলে চিহ্নিত এই সমস্ত দল ও ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে তাদের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের মানুষের উপর অত্যাচার করছে, দমন পীড়ন চালাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে হইচই করে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া। এ যেন এক অদ্ভুত সমাপতন দেশের ভেতরে বাইরে পাকিস্তানের মুখরক্ষা ও ভারতে পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’দের মুখরক্ষার উপায় একটিই, যে ভাবেই হোক এটা প্রমাণ। করা যে ভারতের তরফে কাশ্মীরের মানুষের। ওপর দমন পীড়ন হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় দাঁড়িয়ে যখন কাশ্মীর ইস্যুকে ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের পর্যবেক্ষণাধীন’ বলে মন্তব্য করলেন তখন রাহুল গান্ধী সোনিয়া গান্ধী সংসদে। উপস্থিত থেকেও এটি কংগ্রেস দলের বক্তব্য নয়। বলে প্রতিবাদ করেননি। কিংবা অধীররঞ্জন যখন কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে হিটলারের নাজি ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করলেন গান্ধী পরিবার তারও প্রতিবাদ করেনি।বিবিসি, আলজাজিরার মতো কিছু বিদেশি মিডিয়ার ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডার অঙ্গ হিসেবে প্রচারিত কিছু রিপোর্ট। ও পাকিস্তানের আনা কল্পিত অত্যাচার ও তার জেরে মানুষের মৃত্যুর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে রাহুল গান্ধী ভারত সরকার ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাশ্মীর নিয়ে সত্য উদঘাটনের দাবি করেছেন। এতে এটাও প্রমাণ হয় যে রাহুল গান্ধী দেশের মিডিয়া ও প্রশাসনের উপর ভরসা করেন না। এর জবাবে কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে। রাহুল গান্ধীকে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণ দিতে বলেছেন। এই বিষয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য স্পষ্ট, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর যে কাশ্মীরে কোনো গুলি ও লাঠি চলেনি, সেখানে অত্যাচার ও মৃত্যুর প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।
জম্মু-কাশ্মীরে প্রশাসনিক কড়াকড়ি শিখিল করা নিয়ে কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কোনও কিছুই রাতারাতি করা যাবে না। উ পত্যকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারকে সময় দিতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কার্যত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে রাখা। হয়েছে ভূস্বর্গকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত থমকে রয়েছে উপত্যকায়। এই প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। সেই মামলার শুনানিতেই গত ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্য জারি করেছে।
মঙ্গলবার আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকার পরিস্থিতির শিক্ষা নিয়েই এবার এত কড়াকড়ি করা হয়েছে। তিনি আশ্বাসের সুরে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এজি এও জানান যে, সরকার নিয়মিত গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। এখনও পর্যন্ত উপত্যকায় কোনও প্রাণহানি হয়নি।
ইতিমধ্যে মঞ্চে হাজির হয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সেই বক্তব্য রাখলেন যা পাকিস্তান শুনতে চাইছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরে যা করেছেন তা দেশের সংবিধান বিরোধী। রাহুল প্রিয়াঙ্কা যাই বলুন না কেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ হরিয়ানার দীপেন্দ্ৰ হুদার মতো অনেক কংগ্রেস নেতা কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। ৭০ বছর বয়সি কংগ্রেসের দাপুটে নেতা জনার্দন দ্বিবেদীর দাবি, “ইতিহাসের ভুল এতদিনে ঠিক করা হলো। তিনি আরও বলেন, “আমি কোনো পার্টির অবস্থান নিয়ে বলব না। তবে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার গুর রামমনোহর লোহিয়াও ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে বলতেন। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, এটা জাতীয় সন্তুষ্টির বিষয়।
এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে গান্ধী পরিবার কাশ্মীর ইস্যুতে শুধু দেশের আমজনতা নয় নিজের দল থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময়ও রাহুল গান্ধী রাফাল ইস্যুতে, চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানের ইস্যুতে যে নিজের দল ও আমজনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন নির্বাচনের ফলে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। রাহুল গান্ধী নিজে আমেথি থেকে পরাজিত হয়েছেন, কংগ্রেস সাকুল্যে ৫২টি আসনে জয়ী, অবশেষে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগও করতে হয়েছে রাজীব তনয়কে।
রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তান নয় ভারতের ভোটারদের কাছে নিজেদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিতে হবে, এই দেওয়াল লিখন কংগ্রেসের যে নেতারা পড়তে পেরেছেন। একমাত্র তারাই বোধহয় কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বমঞ্চে সম্পূর্ণ একা পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা ভারতের পাক সমব্যথীরা। ভারতের এই সমস্ত নেতানেত্রী ও দলের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কোণঠাসা পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কাশ্মীর নিয়ে সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির হেডলাইন দেখলে মনে হবে কাগজটি পাকিস্তানে ভারত বিরোধী ডেরায় ছাপা হচ্ছে। গত ১৫ আগস্ট গণশক্তির একটি খবরের হেডলাইন, ‘মাঝরাতে শিশুদেরও তুলে নিয়ে যাচ্ছে জওয়ানরা। এই খবরে লেখা হয়েছে, ‘কাশ্মীরে মাঝরাতে বিছানা থেকে শিশুদেরও তুলে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। থানায় নিয়ে মারধর করা হচ্ছে। মহিলাদের অভিযোগ, শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে। কাশ্মীর উপত্যকায় ঘুরে এসে এই রিপোর্ট করল তথ্যানুসন্ধানী দল। এই দলের সদস্যরা জানালেন, কাশ্মীরে সমস্ত অংশের মানুষের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ৩৭০ ধারা খারিজ এবং যে পদ্ধতিতে তা খারিজ করা হয়েছে তা নিয়ে মানুষ ভয়ংকর ক্ষুব্ধ। এই ক্ষোভ দমন করতে গিয়ে সরকার কাশ্মীরে দমন পীড়ন চালাচ্ছে। গোটা কাশ্মীরই কার্যত কারফিউ কবলিত হয়ে রয়েছে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে বিমান হানার প্রমাণ চেয়ে এর আগেও এই ‘সমব্যথীরা’ পাকিস্তানকে সহায়তা করেছেন। এবার স্বাধীনতা দিবসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের কথা নিজে মুখে স্বীকার করার পর রাহুল মমতা, বামপন্থী নেতা-নেত্রীরা এখন মিথ্যাচারের জন্য, ভারতীয় সেনাকে অপমান করার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা না চেয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে, রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি ও সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’ তকমার সাহায্যে ঘুরে দাঁড়ানোর খোয়াব দেখছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে এটা বলতেই হবে যে আগামীদিনে দেশ হিসেবে পাকিস্তানের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে। ভারতের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের ‘সমব্যথী’দের অস্তিত্ব বিলোপের দায়িত্ব যে ভারতের দেশপ্রেমিক আমজনতাকেই নিতে হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
সাধন কুমার পাল
2019-08-30