কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলীর জুটি দেখেছে ভারত। তাঁদের সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানে। এক সময় বিরাটকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন শাস্ত্রীই। বিরাট সেই বিশ্রাম পেয়েছেন। এ বার মাঠে নামার পালা। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বিরাটের থেকে অর্ধশতরান চাইছেন শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচের বিশ্বাস, তাতেই বন্ধ হয়ে যাবে সমালোচকদের মুখ।
বিরাটকে নিয়ে শাস্ত্রী এখন অনেক নিশ্চিন্ত। তাঁর বিশ্বাস, বিরাট অনেক ঠান্ডা মাথা নিয়ে ভারতীয় দলে ফিরবে। ভারতের প্রাক্তন কোচ বলেন, “অনেক দিন খেলার বাইরে ছিল। রান করতেই হবে বলে যে চাপটা ছিল, সেটা কেটে গিয়েছে। ঠান্ডা মাথা নিয়ে ফিরবে বিরাট। এ বার ও যা করবে সেটাই আগামী দিনগুলো ঠিক করে দেবে। প্রথম ম্যাচে একটা অর্ধশতরান। ব্যস, সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে। যা হয়ে গিয়েছে, সেটা নিয়ে ভাবার কোনও মানে নেই। মানুষ খুব সহজে ভুলে যায়।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বিরাটকে। কিছু দিন ছুটি কাটিয়ে মুম্বইয়ে অনুশীলন করেন তিনি। বিরাটের সঙ্গে ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। যিনি এক সময় ভারতের ব্যাটিং কোচও ছিলেন। এশিয়া কাপে খেলবেন বিরাট। প্রথম ম্যাচই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বাবর আজমের যে দলের বিরুদ্ধে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারতে হয়েছিল বিরাটের ভারতকে। সেই ম্যাচেই বিরাটের ব্যাটে রান দেখতে চাইছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, “বিরাটের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। কিন্তু বড় ক্রিকেটাররা বড় ম্যাচেই নিজেদের প্রমাণ করেন। বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। মানসিক ক্লান্তি বিশ্বের যে কোনও সেরা খেলোয়াড়কে কাবু করে ফেলতে পারে। এমন কোনও খেলোয়াড় নেই, যে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়নি।”
১০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চলেছেন বিরাট। শাস্ত্রী মনে করেন খুব তাড়াতাড়ি বিরাটের খারাপ সময় কেটে যাবে। শাস্ত্রী বলেন, “কোন জিনিসটা ভুল করেছে বিরাট? যে যে ঠিক কাজগুলো করেছে, সেগুলোর দিকেই নজর দেওয়া উচিত। খারাপ জিনিসগুলো মাথায় নিয়ে আসার কোনও প্রয়োজন নেই। খেলার মধ্যে এগুলো হতেই পারে। যা ভাবার, পরিকল্পনা করার, তা হয়ে গিয়েছে। এ বার সময় মাঠে নেমে সেগুলো কার্যকর করার।”
শুধু বিরাট নন, এশিয়া কাপের আগে ভারতীয় দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শাস্ত্রী। তিনি মনে করেন ভারতীয় দলে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হার্দিক পাণ্ড্য। শাস্ত্রী বলেন, “ভারতীয় দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে হার্দিক। ও দলে না থাকলে ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হার্দিক। বুঝতে পারবেন না বাড়তি ব্যাটার খেলানো হবে না কি বাড়তি বোলার।”
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভারতীয় দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যাননি কোচ রাহুল দ্রাবিড়। শাস্ত্রী মনে করেন না তাতে খুব বেশি ক্ষতি হবে। ভারতের প্রাক্তন কোচ বলেন, “দ্রাবিড় না থাকায় আমার মনে হয় না খুব বড় কোনও পার্থক্য হবে। এখন আর ওটা করোনা নয়, সাধারণ জ্বরের মতো হয়ে গিয়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে দ্রাবিড়। ও খুব তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে যোগ দেবে। কয়েকটা ওষুধ খেলেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে যাবে দ্রাবিড়।”