‘দ্য ওয়্যার’ নামে একটি সংবাদ সংস্থা প্রকাশ করে যে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের কোম্পানির বাৎসরিক লেনদেনের পরিমাণ হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর জয় শাহ সেই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনার দরুন মানহানির মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি অরুণ মিশ্র, এম আর শাহ এবং বি আর গাভাই এই মন্তব্য করেন যে, “একপাক্ষিক সাংবাদিকতা শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম খারাপ করে, মানুষকে মিথ্যে অপবাদ দেয়। এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা অত্যন্ত প্রয়োজন”। সুপ্রিম কোর্ট বলে, “সংবাদপত্রের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে কিন্তু সেটা একতরফা হতে পারে না”। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট ‘ইয়েলো জার্নালিজম’ এর বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিচারালয় সেই সংবাদপত্র সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে যে এখনকার মতো তারা এই মিথ্যে অভিযোগের খবরটা তুলে নিতে পারে কিন্তু মাথায় রাখতে হবে কোনোরকম ভাবনাচিন্তা না করে এরকম অভিযোগ আনা বেআইনি। ভবিষ্যতে যদি কেউ এইরকম মিথ্যে বদনামের কোনো খবর প্রকাশ করে তাহলে তা বিপক্ষের মামলা করার আগেই তুলে নিতে হবে না হলে তাকে মানহানির মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে না।
যখন কপিল সিবাল সংবাদ সংস্থার তরফ থেকে মানহানির মামলাটি তুলে নেওয়ার আর্জি জানাতে আসেন তখন বিচারপতিরা বলেন “এই ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানকে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে, এমনকি আমাদেরও ভোগান্তি হয়েছে। এই ঘটনাগুলি ধারাবাহিক ভাবে কীভাবে চলতে পারে? কেন আমরা এই মামলাটির বিচার করবো না? এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই মামলাটিকে আমাদের তুলে নিতে হচ্ছে। বিচারপতি হিসেবে এই ব্যাপারটিকে নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।”
যখন সি জি আই রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে একটি যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করা হয়, সেই ঘটনার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্পষ্টভাবে কিছু বলার আগেই কিছু পোর্টাল সেই ব্যাপারে খবর প্রকাশ করে। কিন্তু মঙ্গলবার তারা সেই ব্যাপারের কোনরকম উল্লেখ করেনি।
বিচারসভা মানহানির মামলা তুলে নেওয়ার অনুমতি দিলেও, মূল ব্যাপারটিকে নিয়মানুযায়ী ফয়সালার জন্য এখনো বিচারাধীন রেখেছেন এবং বলেছেন, “এটি ‘ইয়েলো জার্নালিজম’ ছাড়া আর কিছুই নয়। এবং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা অবশ্য প্রয়োজন।”
সাহেব