Partha Chatterjee: দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি! বললেন দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া পার্থ

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে পার্থকে। দলের তরফে এমন দূরত্ব-বৃদ্ধির পরও পার্থ বললেন, ‘‘দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি।’’

শনিবার অসুস্থ বোধ করায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা শেষে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন পার্থ।

বস্তুত, পার্থের গ্রেফতারি ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকার হদিস পাওয়ার পরই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব রচনা করে ঘাসফুল শিবির। পার্থকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও সেই টুইট পরে মুছে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থকে দলীয় সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করার পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়। মন্ত্রিত্ব থেকে তার আগেই পার্থকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী বলেছিলেন, দল ও সরকারের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।


গত বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এজলাস ছেড়ে বেরোনোর সময় আক্ষেপের সুরে পার্থ বলেছিলেন, ‘‘আগে কত লোক থাকত। এখন কেউ নেই!’’ তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব-বৃদ্ধির আবহে পার্থের এই মন্তব্য আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। সেই মন্তব্যের পর শনিবার ‘দলের সঙ্গে আছি’ বলে পার্থের মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করেছে।

বিরোধীদের একাংশের কটাক্ষ, পার্থকে ‘ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন’ তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর তাঁর পাশে যে ভাবে দাঁড়িয়েছেন মমতা, সেই প্রেক্ষাপটে পার্থকে নিয়ে তৃণমূলনেতৃত্ব অনেকটাই ‘কঠোর’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.