সুদানের খার্তুম বিমানবন্দর থেকে ইথিয়োপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে যাচ্ছিল একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইটি-৩৪৩ বিমান। কিন্তু আদ্দিস আবাবাতে অবতরণ করার সময় হলে দেখা যায়, কিছুতেই নামছে বিমান। কমছে না গতিও! যাত্রীরা তো বটেই, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমানবন্দরের কর্মীরাও। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, বিমান স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দুই চালক!
খার্তুম থেকে রওনা দেওয়ার পরেই দুই চালক ‘অটো পাইলট’ ব্যবস্থা চালু করে দেন বিমানে। কিন্তু দীর্ঘ বিমানযাত্রায় চালকরা এতটাই ক্লান্ত ছিলেন যে, নিজেদের চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েন দু’জন। গন্তব্যে পৌঁছে গেলেও ভাঙেনি ঘুম। বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে নামার সঙ্কেত দিয়ে দেওয়ার পরেও রানওয়ের দিকে আসেনি বিমানটি। চক্কর কাটতে থাকে প্রায় ৩৭০০০ ফুট উঁচুতে। এটিএফের তরফ থেকে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া দেননি চালকরা। শেষ পর্যন্ত বিমানের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়ে তীব্র শব্দে বাজতে শুরু করে বিপদসঙ্কেত। তাতেই ঘুম ভাঙে চালকদের। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর অবতরণ করে বিমানটি।
নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ২৫ মিনিট পর অবতরণ করে বিমানটি।
প্রতীকী ছবি।
যে সংস্থার বিমানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই ‘ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইনস’ আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম বিমানপরিবহণ সংস্থা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে চাপ বাড়ছে সংস্থাটির উপরেও। অনেকেরই দাবি, অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে চালকদের বিরুদ্ধে। কারও দাবি, বিমানচালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দেওয়ার কারণেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
00:02
/
02:12
Ads by