প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য চিকিৎসকদের এক হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে করা একটি জনস্বার্থ মামলায় এমনই অভিযোগ উঠে এল।
‘ফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় এই ‘চাঞ্চল্যকর’ অভিযোগ উঠে এসেছে। সংগঠনটির নিশানায় একটি ট্যাবলেট প্রস্তুতকারক সংস্থা। আদালতে তারা দাবি করেছে, চিকিৎসকেরা যাতে প্রেসক্রিপশনে ওষুধটির কথা লেখেন সে জন্য এক হাজার কোটি টাকা সংস্থাটি বিতরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ফেডারেশনের আইনজীবী সঞ্জয় পারীখ আদালতে বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা যাতে জ্বর-নিরায়মকারী ওষুধ হিসাবে ওই ট্যাবলেটটি খাওয়ার পরামর্শ দেন, তার জন্য এক হাজার কোটি টাকা ছড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।’’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এটি একটি গুরুতর সমস্যা।’’ এমনকি, তিনি ষখন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তাঁকে ওই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি শুধু আমার কানে শোনা কথা নয়। আমি যখন করোনা আক্রান্ত হই তখন আমাকেও এই ওষুধ খেতে বলা হয়েছিল। এটা একটা গুরুতর সমস্যা।’’
এ ব্যাপারে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ‘ইউনিফর্ম কোড অব ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং প্র্যাকটিস’ (ওষুধ বিপণনের ক্ষেত্রে মেনে চলার জন্য কেন্দ্রের তৈরি গাইডলাইন। যদিও তা মানা বাধ্যতামূলক নয়।) যাতে মেনে চলে তার জন্য কেন্দ্রকে সক্রিয় হওয়া নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করছে মামলাকারী। এ প্রসঙ্গে কোভিড-১৯ চলাকালীন রেমসিডিভির ওষুধের অত্যাধিক বিক্রি এবং চিকিসকদের পরামর্শকে উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী।
এ নিয়ে কেন্দ্রের কী প্রতিক্রিয়া তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। ১০ দিন পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।