TET recruitment Scam: টেট নিয়োগে বাড়তি নম্বর বিতর্ক: পর্ষদের কাছে তালিকা চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়


টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চাইল কারা ওই নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন? এ ব্যাপারে পর্ষদের কাছে কাট অফ মার্কস (অর্থাৎ যত নম্বর পেলে নিয়াগের যোগ্য বলে গণ্য করা হবে প্রার্থীকে) এবং সংরক্ষণ তালিকা চেয়ে পাঠালেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে হলফনামার আকারে ওই তথ্য চেয়েছেন। তথ্য জমা দেওয়ার জন্য পর্ষদকে দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বিচারপতি। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, টেট পরীক্ষায় আসা ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তবে এই নম্বর ২০১৬ সালের নিয়োগের সময় দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় দু’দফায় নিয়োগ হয়। ২০১৬ সালের পর আবার ২০২০ সালে। বাড়তি নম্বর দিয়ে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হয় এই দ্বিতীয় দফাতে। অভিযোগ, এই দ্বিতীয় দফার নিয়োগেই অনিয়ম হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে বাড়তি নম্বর পেয়ে কাট অফ মার্কস পেয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীরাও। টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশ এই নিয়েই মামলা করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টে। মঙ্গলবার তার শুনানিতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় টেট পরীক্ষার্থীদের কাট অফ মার্কস এবং সংরক্ষণের তালিকা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে ভুল ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালে। ২০১৮-র ১৩ অক্টোবর ছ’টি ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্ট হয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারাধীন। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদউস শামিম বলেন, ‘‘মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীনই প্রাথমিকের ৭৩৮টি শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করে পর্ষদ। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় অনেক যোগ্য প্রার্থী বাড়তি নম্বর পাওয়া থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.