৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিতাভস্ম জাপান থেকে ভারতে ফেরানোর দাবিতে বিবৃতি জারি সুভাষ-কন্যা অনিতা বসু পাফের। পাশাপাশি, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই চিতাভস্ম যে আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়কেরই, সেই তথ্যও সর্বসমক্ষে আনার আবেদন জানিয়েছেন। যাতে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে সংশয়ীদের সামনে প্রমাণস্বরূপ তা রাখা যায়।
বর্তমানে জার্মানির বাসিন্দা পেশায় অর্থনীতিবিদ অনিতা বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের সুযোগ দিচ্ছে চিতাভস্মের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার। ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট নেতাজির মৃত্যু নিয়ে যাঁরা এখনও সন্দিহান, তাঁদের কাছে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, টোকিয়োর রেনকোজির মন্দিরে যে চিতাভস্ম রাখা আছে, তা নেতাজিরই। অনিতা আরও লেখেন, ‘এ বার সময় এসেছে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার। নেতাজির জীবনে দেশের স্বাধীনতার গুরুত্ব ছিল সবচেয়ে বেশি। বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত ভারত ছাড়া তিনি আর কিছুই চাননি। তাই তিনি যে হেতু স্বাধীনতার আনন্দ উদ্যাপনের সুযোগ পেলেন না, তাই তাঁর চিতাভস্ম অন্তত ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হোক।’
সুভাষ-কন্যার বিবৃতি বলছে, ‘নেতাজির একমাত্র কন্যা হিসেবে আমি তাঁর একান্ত ইচ্ছের কথা জনসমক্ষে জানালাম। তিনি চাইতেন, স্বাধীন দেশে ফিরতে। সেটা আর সম্ভব নয়, তাই অন্তত তাঁর শেষ চিহ্নটুকু ফিরিয়ে আনা হোক। যাতে নিজের দেশে উপযুক্ত সম্মানটুকু তাঁকে দেশবাসী দিতে পারে।’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, অনিতা বিবৃতির একে বারে শেষে লিখেছেন, ‘প্রত্যেক ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশবাসী, যাঁরা আজ স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে পারছেন, তাঁরা সবাই নেতাজির পরিবার। আমি আমার সমস্ত ভাই, বোনেদের অভিনন্দন জানাই। এবং তাঁদের কাছে আবেদন করতে চাই, তাঁরা যেন নেতাজিকে ঘরে ফেরাতে আমার উদ্যোগকে সমর্থন জানান।’