মায়ানমারের প্রাক্তন শাসক আং সান সু চিকে আরও ছ’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। মামলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সূত্রের দাবি, চারটি দুর্নীতির মামলায় জড়িত থাকার দায়ে সোমবার নোবেলজয়ী সু চিকে কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে সরব ৭৭ বছর বয়সি সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী নিয়মনীতি লঙ্ঘন করা-সহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় দায়ের হয়েছিল। ওই সমস্ত অভিযোগে সু চি দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাবাস হতে পারে। গত মাসেও আর একটি দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর সোমবার আরও ছ’বছরের কারাদণ্ড হল দেশের প্রাক্তন শাসকের। যদিও সু চি বরাবরই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
২০২০ সালে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে। ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি সে দেশের সেনাবাহিনী সু চি ও তাঁর সহযোগী দলীয় নেতাদের গ্রেফতার করে। সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মায়ানমারের মসনদ দখল করে সেনাবাহিনী। সু চির সমর্থক এবং আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সু চিকে অন্যায় ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টিকে বৈধতা দিতেই এই পদক্ষেপ।