Suvendu Adhikari: ‘তেরঙ্গা যাত্রায় বাধা’! চিঠি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শাহের ফোন পেলেন শুভেন্দু

নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ‘তেরঙ্গা যাত্রা’ করতে গিয়ে পুলিশি বাধার অভিযোগ জানানোর পরদিনই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দফতর সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে শাহের ফোন আসে নন্দীগ্রামের বিধায়কের কাছে। দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে মিনিট দশেক।

শুক্রবার নন্দীগ্রামে এক তেরঙ্গা যাত্রার ডাক দেন শুভেন্দু। তেখালি থেকে রেয়াপাড়া পর্যন্ত এই তেরঙ্গা যাত্রার কথা ছিল। অভিযোগ, সেই কর্মসূচি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বাক্‌বিতণ্ডাতেও জড়ান শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তেরঙ্গা যাত্রা করতে গেলেও অনুমতি লাগে নাকি? আমি আদালতে যাব।’’ পুলিশের দাবি, সাধারণ পদযাত্রার অনুমতি নিয়ে বাইক মিছিল করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দুরা। সেই কারণেই তা আটকানো হয়েছে।

শুক্রবার রাতে এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু চিঠি লেখেন শাহকে। চিঠিতে তিন আইপিএস অফিসারের নাম লিখে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁরাই ওই ‘অরাজনৈতিক’ শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে এবং হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রদ্ধা পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। চিঠিতে লেখেন, ‘৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে তেরঙ্গা যাত্রায় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। আমজনতা জাতীয় পতাকা হাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে হাঁটতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচি পালন হচ্ছিল।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এই মিছিল বিনা প্ররোচনায় আটকায় পুলিশ। বহু বার তাঁদের অনুরোধ করেও মিছিল এগনোর অনুমতি মেলেনি। শুভেন্দুর অনুযোগ, ‘আইপিএস অফিসার হয়ে কেউ জাতীয় পতাকার প্রতি এমন অমার্যাদা করতে পারেন তা ছিল আমার কল্পনাতীত।’ ওই আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আর্জি জানান শুভেন্দু। এর পরদিনই এল শাহের ফোন।

তবে শনিবার দুপুরে শাহের সঙ্গে শুভেন্দুর কী কী কথাবার্তা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি দু’পক্ষের কেউই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.