বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়িতে ঢুকে পড়েছে সিবিআই। বাড়ি ঘিরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানরা। কেষ্টর বাড়িতে ঢুকে ভিতর থেকে তালা মেরে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরিস্থিতি এমনই যে বাইরে আটকে পড়েন অনুব্রতর দেহরক্ষীরাই। এ দিকে কেষ্টর বাড়িতে সিবিআই হানার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাড়ির সামনে ভিড়।
ঘড়ির কাটায় সকাল দশটা। অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ি ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দোতলা বাড়ির উপরের তলায় থাকেন অনুব্রত। নীচের তলায় তাঁর অফিস এবং আরও কিছু ঘর। কিছু ক্ষণের মধ্যেই নীচের তলার দখল নিয়ে নেয় সিবিআই। শোনা যাচ্ছে, সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। কলকাতা থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে তাঁরা বোলপুর পৌঁছেছেন। তাহলে কি বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হবেন কেষ্ট?
এ দিকে নীচুপট্টির বাড়িতে সিবিআই হানার খবর পেয়ে পিল পিল করে মানুষ চলে আসেন চারপাশে। কেউ যাচ্ছেন বাজার, মাঝ পথেই হানার খবর পেয়ে চলে এসেছেন নীচুপট্টি এলাকায়। দেখতে। আবার কেউ ‘দাদা’র কথা ভেবে আশঙ্কায় হাজির হয়েছেন সাতসকালেই। সেই ভিড় সামাল দিতে হিমসিম অবস্থা পুলিশের।
সিবিআই আধিকারিকরা কয়েক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানকে নিয়ে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই বাড়ির সমস্ত দরজা ভিতর থেকে তালা মেরে দেন। যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারেন। এ দিকে সিবিআইয়ের অভিযান সম্পর্কে কোনও খবরই ছিল না অনুব্রতর দেহরক্ষীদের কাছে। ফলে তাঁরাও বাইরেই আটকে পড়েন। পরে অবশ্য তাঁদের প্রধানকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় সিবিআই। তিনি ভিতরে ঢুকে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পর কেষ্টর বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন দু’জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। ফোনেও কিছু ক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের।