নারদ কাণ্ডের জেরায় নতুন কৌশল নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআই। বুধবার, ২৮ অগস্ট ম্যাথুকে ডাকা হয়েছে দিল্লির সিবিআই দফতরে। জানা গিয়েছে, বুধবারই তলব করা হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অ্যালকেমিস্টের মালিক কেডি সিং-কেও। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা চাইছেন ম্যাথু এবং কেডি-কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে।
নারদ তদন্ত শুরু থেকে করছিল ইডি। কিন্তু পরে সিবিআই-ও এই তদন্তে নামে। একাধিকবার ম্যাথুকে ডেকে জেরা করে সিবিআই ও ইডি। মাস দেড়েক আগেও কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ম্যাথু। এ বার দিল্লি সিবিআই ডেকে পাঠাল তাঁকে।
আগেই জানা গিয়েছিল, ম্যাথু নাকি ইডি এবং সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখে জানিয়েছিলেন, পুরো স্টিং অপারেশনের ফান্ডিং এসেছিল কেডি সিং-এর সংস্থা অ্যালকেমিস্টের থেকে। প্রসঙ্গত, এই চিটফান্ড দুর্নীতিতেও নাম রয়েছে অ্যালকেমিস্টের। এই সংস্থারই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর ছিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকেও জেরার জন্য ডেকেছিল ইডি।
এর আগে কেডি-কে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সংসদের অধিবেশন চলছে বলে তিনি যাননি। দূত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন তাঁর সংস্থার এক মহিলা হিসেব রক্ষককে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে নারদ ফুটেজ সামনে আসে। দেখা যায় একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা নগদ টাকা নিচ্ছেন।
গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। বিধানসভা ভোটের আগে হইহই পড়ে যায় বাংলায়। এমন অনেককে সেই ফুটেজে দেখা যায়, যাঁরা সেই ভোটে প্রার্থী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আগে জানলে এদের টিকিট দিতাম না।” কিন্তু ভোটের ফলে নারদ কাণ্ড প্রভাব না ফেললেও তদন্ত থেমে থাকেনি। এখন দেখার বুধবারে সিবিআই দফতরে ম্যাথু এবং কেডি দু’জনেই যান কি না।