আরও বিপাকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার রায়ান গিগস। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন বান্ধবী কেট গ্রেভিল। এ বার কেটের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আরও আট মহিলার সঙ্গে প্রেম ছিল গিগসের। ন’জন মহিলাকেই গিগসের প্রবল শারীরিক চাহিদা মেটাতে হত বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আদালতে কেট বলেছেন, ‘‘আমি এক দিন গিগসের আইপ্যাড ঘেঁটে জানতে পারি ওর সঙ্গে আরও আট মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। ওদের সঙ্গে গিগসের কথাবার্তা থেকে আমি জানতে পারি, আমার মতো বাকি আট জনের সঙ্গেও জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করত গিগস।’’ কথা না শুনলে গিগস তাঁদের মারধর করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন কেট।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়ই গিগসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান কেট। সে সময় তিনি একটি জনসংযোগ সংস্থায় কাজ করতেন। পরে গিগসের ম্যানেজার হিসাবেও কাজ করেন তিনি। ৪৮ বছরের প্রাক্তন ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালে ১ নভেম্বর কেট ও তাঁর বোন এমাকে মারধর করেন তিনি। সে দিনই কেটের অভিযোগ পেয়ে গিগসের ম্যাঞ্চেস্টারের বাড়িতে পুলিশ যায়। সেই ঘটনার পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
২০১৭ সাল থেকেই গিগসের সঙ্গে কেটের সম্পর্কের অবনতির শুরু। কেট গিগসের বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা, অপমানজনক মন্তব্য করা, হয়রানি করা, খারাপ ব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গিগসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিন পান। পুলিশি তদন্তে বার বার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গিগস। গত বছর এপ্রিলে নিম্ন আদালতের শুনানিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানান প্রাক্তন ফুটবলার।