এককথায় পৃথিবীর ফুসফুস অ্যামাজন জঙ্গল। সেই ফুসফুস আজ জ্বলছে। আর তা নিয়েই সজাগ হয়েছে সারা বিশ্ব। সোমবার ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-৭ বৈঠকে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেন বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা। এমনকি তাঁরা অ্যামাজনের আগুন নেভাতেও ব্রাজিলকে সাহায্য করবে বলে সংকল্প নিয়েছে।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাঁকর জি-৭ বৈঠকে অ্যামাজনের জঙ্গলে আগুন নেভানো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় ব্রাজিলকে সাহায্য করা দরকার। আর আমরা তা সাধ্যমতো করব।কারণ আমরা এর সাহায্যেই বেঁচে আছি।”
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল বলেন, আগুন নেভানোর পর আবার গাছ লাগানো নিয়ে সব দেশ মিলে ব্রাজিলের সঙ্গে কথা বলবে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা হতে পারে ব্রাজিলে হয়েছে। কিন্তু এর প্রভাব সকলের মধ্যে গিয়ে পড়বে।” এছাড়া পোপ ফ্রান্সিস ব্রাজিলে আগুন লাগার ব্যাপারে চিন্তা প্রকাশ করেন। তিন বলেন, এই সময় ব্রাজিলের পাশে থাকা দরকার সবার।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বলছে ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গল। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক অরণ্য। যা নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদরাও।
পরিবেশবিদদের মতে, পৃথিবীতে অক্সিজেন সবথেকে বেশি সরবরাহ হয় অ্যামাজন জঙ্গল থেকে। সেই অ্যামাজন জঙ্গল যদি ধ্বংস হয়ে যায়, এই প্রাণীকুল সংকটে পড়বে। তাই অবিলম্বে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দরকার।