সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএমে ডাক্তার দেখিয়ে চলে গিয়েছেন বীরভূমে নিজের বাড়িতে। এদিকে সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অবশ্য ইঙ্গিত রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর সেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে গরু পাচারকারীদের টাকা যেত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলের কাছে। আর সেই টাকা আসত অনুব্রতর নামে।
এদিকে সূত্রের খবর, সায়গলের সঙ্গে গরু পাচার চক্রের অন্যতম বড় মাথা এনামুলের যোগাযোগ ছিল। এমনকী তাদের মধ্যে ফোনে কথাবার্তাও হত বলে অভিযোগ। আর এর সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে তবে কি সায়গলের মাধ্যমে এনামুলের সঙ্গেও কথা বলতেন অনুব্রত? এনিয়েও ইঙ্গিত মিলছে ক্রমশ।
গরু পাচার কাণ্ডে ৪১ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সায়গল হোসেন, ইলামবাজারের গরু হাটের মালিক আব্দুল লতিফ ও বিকাশ মিশ্রের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের নামে আসত টাকা। সেই টাকা রিসিভ করত সায়গল হোসেন। মূলত সায়গল ছিল দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিকে দেহরক্ষী সায়গলের সম্পত্তির হিসেব দেখে হতবাক তদন্তকারীরা। কীভাবে এত টাকার মালিক হয়েছিলেন তিনি সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে কি এর মধ্যেও রয়েছে গরু পাচারের টাকা? টাকার রিসিভার হিসাবে পাচারের টাকার ভাগ পেতেন দেহরক্ষী? সব দিকটাই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।