অ্যাথলেটিক্স থেকে আরও চারটি পদক এল ভারতের ঘরে। ট্রিপল জাম্পে সোনা এবং রুপো দু’টিই পেলেন ভারতের ক্রীড়াবিদরা। সোনা জিতলেন এলধোস পল। রুপো পেলেন আবদুল্লা আবুবাকের। অল্পের জন্য এই বিভাগে ব্রোঞ্জ হাতছা়ড়া হয়ে গেল। পুরুষদের ১০ হাজার মিটার রেস ওয়াকে ব্রোঞ্জ পেলেন সন্দীপ কুমার। মহিলাদের জ্যাভলিনে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের অন্নু রানি।
ট্রিপল জাম্পে প্রথম প্রয়াসটি খারাপ হয় এলধোসের। মাত্র ১৪.৬২ মিটার লাফান তিনি। দ্বিতীয় প্রয়াস থেকে পারফরম্যান্সের উন্নতি হতে শুরু করে। ১৬.৩০ মিটার লাফান। তৃতীয় প্রয়াসে ১৭.০৩ মিটার লাফান। সেটিই তাঁকে সোনা এনে দিয়েছে। আবদুল্লা বরং কিছুটা পিছিয়ে থেকে শুরু করেছিলেন। তবে পঞ্চম প্রয়াসে তিনি ১৭.০২ মিটার লাফান। তাতেই রুপো নিশ্চিত হয়ে যায়।
ভারতের আর এক প্রতিযোগী প্রবীণ চিত্রাভেল প্রথম তিনের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিলেন। আবদুল্লা এসে তাঁকে টপকে যাওয়ায় তিনি চারে নেমে যান। ব্রোঞ্জ পেতে গেলে ১৬.৯২ মিটারের বেশি লাফ দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু চিত্রাভেল ১৬.৮৯-এর বেশি লাফাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, এর আগে কমনওয়েলথের ট্রিপল জাম্পে চারটি পদক জিতেছে ভারত। এই প্রথম বার ভারতের দুই প্রতিযোগী একই সঙ্গে পোডিয়ামে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৪-এর গেমসে রুপো পেয়েছিলেন মহিন্দর সিংহ গিল। রেঞ্জিত মাহেশ্বরী এবং অর্পিন্দর সিংহ ব্রোঞ্জ পান যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১৪-র গেমসে। সোনা এর আগে কেউ জেতেননি। ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেললেন এলধোস।
এ দিকে, ১০ হাজার মিটার রেস ওয়াকে সন্দীপ কুমার রেস শেষ করেছেন ৩৮:৪৯.২১ মিনিটে। ভারতের আর এক প্রতিযোগী অমিত এই বিভাগে ৩৮:৪২.৩৩ মিনিটে রেস শেষ করে নবম স্থান পেয়েছেন।
জ্যাভলিনে অন্নু রানি ৬০ মিটার ছুড়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। চতুর্থ প্রয়াসে তিনি এই দূরত্ব অতিক্রম করেন। তাঁর তিনটি থ্রো বাতিল হয়েছে।