হিন্দি বলেই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় মোদী

“উনি ভালো ইংরেজি বলেন। কিন্তু এখন বলতে চান না।”-আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ছোট রসিকতার পরই দুই রাষ্ট্রনেতা হো-হো করে হাসতে লাগলেন। দুপাশে সারিবদ্ধ ভাবে দুদেশের কূটনীতিকরা বসে রয়েছেন। সামনে সংবাদমাধ্যম। সকলেরই তখন হাসিমুখ। গুরুগম্ভীর আলোচনার মাঝে তখন একটা ঠান্ডা বাতাস নেমে এসেছে ফ্রান্সের বিয়ারিটজ-এ।

জি-৭ বৈঠক চলাকালীন পার্শ্ব বৈঠকে মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের দিকে সারা পৃথিবীর নজর ছিল। কারণ জম্মু ও কাশ্মীরে আর্টিকেল 370 নিস্ক্রিয়করণ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি বড় ইস্যু বানাতে চেয়েছিল পাকিস্তান। ভারত তা হতে দেয়নি। সকলের নজর ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকে।

যাই হোক, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় এড়িয়েও মোদীর ইংরেজী বলার বিষয়টি সারা বিশ্বের মিডিয়ার নজরে ছিল।বিদেশে নরেন্দ্র মোদী খুব প্রয়োজন ছাড়া ইংরেজি বলেন না। দেশেও যে এই ব্যবস্থার অন্যথা হয় তা নয়। মোদীর এই স্টাইল দেশ এবং দেশের বাইরে জনপ্রিয় হয়েছে। মজেছেন ট্রাম্পও।

কিছুদিন আগে করবেট পার্কে ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে মোদী ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং অভিজানকারী বিয়ার গ্রিলের সঙ্গে হিন্দিতেই কথা বলেছিলেন। তা বেশ বুঝেও নিয়েছিল গ্রিল। জনতা মোদীকে এই বিষয়ে প্ৰশ্ন করতে থাকেন। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জবাব দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন আপনারা শুনলে অবাক হবেন, একটা ছোট্ট যন্ত্রের সাহায্যে নেওয়া হয়েছিল।

দক্ষিণ ভারতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেকবার ইংরেজি ব্যবহার করেছেন মোদী। কারণ উনি মনে করেছেন তামিল বা অন্যান্য দক্ষিণী জনতা হিন্দি পছন্দ করেন না। কিন্তু, শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভুল ভেঙে যায় মোদীর। তিনি তামিলনাড়ুতে গিয়ে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। অনুবাদকারী, জনতাকে তামিল করে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রেও তাই অনেকে বলছেন “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.