টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও দু’মাস দূরে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকেই সেই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। জানালেন দীনেশ কার্তিক। তাঁর মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায় বিভিন্ন পরিবেশে খেলার ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এখান থেকে শুরু করে দিয়েছে ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি ম্যাচ খেলার পর ফ্লরিডাতে গিয়েছে ভারত। দু’টি ম্যাচ হবে লডারহিলে। কার্তিক জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিটি মাঠে আলাদা আলাদা পরিবেশে খেলতে হয়েছে তাঁদের। আমেরিকাতেও আলাদা পরিবেশে খেলতে হবে।
কার্তিকের কথায়, “কিছু দিন পরেই বিশ্বকাপে খেলতে যেতে হবে আমাদের। তিনটি মাঠ আমার মাথায় আসছে, যার চরিত্র তিন রকম। সিডনির মাঠ চওড়ায় বেশ ছোট। কিন্তু সোজাসুজি মাঠটা অনেক লম্বা। অ্যাডিলেডেও একই রকম। চওড়ায় কম, লম্বায় বেশি। মেলবোর্নে ঠিক উল্টো। সোজাসুজি বেশ ছোট, দুটো পাশ অনেক লম্বা।”
কার্তিকের সংযোজন, “ওখানেও বিভিন্ন মাঠে খেলতে হবে। তাই প্রতিটা ম্যাচেই অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। এখানেও আমরা আলাদা আলাদা মাঠে খেলছি। প্রতিটা মাঠে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। প্রতি বার মাঠে নামার সময় নতুন পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।”
কার্তিক জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগেই ভারতের কোচ এবং অধিনায়ক নতুন মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। ফলে আগে থেকেই তৈরি হয়ে নামতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা। কার্তিক বলেছেন, “রোহিত এবং রাহুল এ ব্যাপারে অনেক স্পষ্ট ধারণা দিয়েছিল। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং সেই মতো খেলার কথা বলে দেওয়া হয়েছে আমাদের। এখনও পর্যন্ত সেই কাজ ভাল ভাবেই করতে পেরেছি।”
মাঝেমাঝে ব্যর্থ হলেও শিবিরে খুব একটা যে চিন্তা নেই, সেটাও বলে দিয়েছেন কার্তিক। তাঁর কথায়, “ক্রিকেটারদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও ব্যর্থ হতেই পারে। ভারতে এখনও অনেক ক্রিকেটার রয়েছে। সবাইকে সুযোগ দিয়ে দেখে নিতে হবে। এখন ভারতীয় দলের যা অবস্থা, তাতে দু’-তিনটে দল অনায়াসে তৈরি করা যেতে পারে। আর কোনও দেশের এই ক্ষমতা রয়েছে বলে আমার জানা নেই। বিশ্বকাপের দলে যারা থাকবে, তারা যে কত ভাগ্যবান সেটা ওদের বোঝা দরকার। আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত।”