পড়ুয়াদের নিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণে বেরিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা শিক্ষকরা। এক সঙ্গে বাসের মধ্যে নাচানাচি করেন। এমনকি, সেই ‘আনন্দে’ যোগ দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। চটুল গানে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের নাচের দৃশ্য ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করল জেলা শিক্ষা দফতর।
হাওড়ার সাঁতরাগাছির কেদারনাথ স্কুল। সম্প্রতি এই স্কুলের একাদশ শ্রেণির পডুয়াদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালিতে শিক্ষামূলক ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেখানে চলন্ত বাসে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা বাসে নাচানাচি করেন। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, স্কুলের ইউনিফর্ম পরে বসে বাসের আসনে বসে বসেই নাচছে কয়েক জন পড়ুয়া। শিক্ষিক-শিক্ষিকারাও নাচছেন। একের পর ‘আইটেম’ গানে পা দোলাতে দেখা যায় তাঁদের। কয়েক জন পড়ুয়া সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয় বিতর্ক। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিভাবকরা। এ নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপোব্রত বসু স্বীকার করেন, তাঁদের ভুল হয়েছে। আগামিদিনে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে সেদিকে তাঁরা নজর রাখবেন।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ক্লাসঘরে গাঁজা বানানোর ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কেউ কেউ দাবি করেন, ওটাও ওই স্কুলের ভিডিয়ো। যদিও প্রধান শিক্ষক জানান, এটা তাঁর স্কুলের ঘটনা নয়। অন্য দিকে, এই নাচের ভিডিয়ো নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া জেলা শিক্ষা দফতর। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে তারা।