পাঁচ বছরের ছেলে বাড়ির কাছেই খেলতে খেলতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাঁকে কোলে নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে গিয়েছিলেন নিশা। সেখানে পৌঁছতেই চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা ছেলেকে মৃত ঘোষণা করার পর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন নিশা। ছেলের নিথর দেহ কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সন্তানহারা এক মা সন্তানের দেহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন, এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন স্থানীয়দের কেউ এক জন। সেই ছবি নিমেষেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে। মর্মান্তিক সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে। কেন হাসপাতাল থেকে কোনও শববাহী গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হল না মহিলাকে। ঘটনাটি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ পটারিয়া জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে। কিন্তু ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যাবস্থা ছিল না। তাই মহিলাকে কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্মীদের এই ঘটনায় কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত ছিল। কেন দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।