শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই বাড়ছে জেহাদি কার্যকলাপ। কানহাইয়ালাল, উমেশ কোলহেদের গলা কেটে খুন থেকে মুসলিম ছাত্রীর কানমলার জন্য স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে নগ্ন করে মারধর। বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এই সব ঘটনার প্রতিবাদে এবার হুঙ্কার দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারন্দে সাফ জানিয়েছেন, ‘এভাবে জেহাদি কাজ চলতে থাকলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে। তার জন্য হিন্দু সমাজ দায়ী থাকবে না।
এই প্রসঙ্গে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছেন মিলিন্দ। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘গলা কেটে হত্যা-সহ হিন্দুদের উপর যে জেহাদি আক্রমণ নেমে আসছে, আদালতকে তার দ্রুত বিচার করতে হবে’। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করে এ সব মামলার বিচারের দাবি তুলেছেন তিনি। মিলিন্দের কথায়, ‘জেহাদি মানসিকতা যদি এই ধরণের দুঃখজনক, পাপাচার চালিয়ে যায় তাহলে হিন্দু সমাজের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে। তার পাল্টা প্রতিক্রিয়াও হবে। যদি এমন হয়, তাহলে হিন্দু সমাজ দায়ী থাকবে না’।
সমস্ত রকম আক্রমণ থেকে হিন্দুদের বাঁচাতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে ভিএইচপি-র যুব শাখা বজরং দল। সে কথা জানিয়ে মিলিন্দ বলেন, ‘যদি কোনও হিন্দু আক্রান্ত হন ওই নম্বরে ফোন করে জানান। সমস্ত রকম আইনি সহায়তা করা হবে।
মুসলিমদের উদ্দেশ্যেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন ভিএইচপি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘মুসলিমদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা কাদের পথে চলবে, মাদানি, ওয়েইসিদের নাকি কালাম, আসফাকউল্লাহদের। মুসলিম সম্প্রদায়কে চরম এবং সন্ত্রাসী মানসিকতা ছাড়তে হবে। নাহলে এখন তাদের কথা ও কাজে যেমন স্ব-বিরোধিতা রয়েছে তেমনই থাকবে’। এই প্রসঙ্গে তিনি জামায়েত ইসলামের উদাহরণ দেন। মিলিন্দ বলেন, ‘একদিকে এঁরা শর তন সে জুদা স্লোগান দেয়, বোমা ফাটায় অন্যদিকে কানওয়ারিদের জল দেওয়ার ভান করে’।