চা করেছিলেন মমতা, সেই দীঘাতেই এবার ‘চায়ে পে চর্চা’ দিলীপের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাফল্যের পিছনে অন্যতম হাতিয়ার যদি কিছু থেকে থাকে তা হল এই চায়ে পে চর্চা। আর ২০২১ এ পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে এগোতে থাকা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও এলেন এই চায়ে পে চর্চাতেই।

মূলত পশ্চিমবঙ্গতে জনসংযোগ কর্মসূচি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগে সামিল হলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে পর দিলীপ ঘোষ এবার এলেন দীঘায়। সেখানে এসে মানুষজনদের সঙ্গে কথা বললেন এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের ও আশ্বাস দিলেন তিনি।

যদিও এই নিয়ে তৃণমূলীয় নেতারা বিদ্রুপ করলেও দিলীপ ঘোষ বুঝিয়েই দিলেন তিনি তাঁর এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষদের সমস্যা শুনতে এবং তা নিয়ে সমাধানের পথ বাতলে সাধারন মানুষের কাছে নিজের জায়গা পাকা করতেই এসেছেন।

কেননা ২০১৯ নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির উত্থানের পিছনে অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে গুরু দায়িত্ব সামলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর তাই সামনের ২০২১ এর নির্বাচনকে কে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গতে নিজেদের জায়গা শক্ত করতে আবারও মাঠে নামলেন দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চার মধ্য দিয়ে।

জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছাকনি হাতে চা-ছাঁকতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সংবাদ মাধ্যমে দেখার পর অনেক বিজেপি নেতা বলা শুরু করেছেন, ছাঁকনি হাতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাঁকতে শুরু করেছেন মমতা। এই ছবি প্রতীকী মাত্র। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে বিজেপির অন্দরের এই আলোচনা যথেষ্টই ইঞ্জিতবহ বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কিছুদিন আগেই দীঘা যাওয়ার পথে কোনও এক ‘রাধারানী স্টোর্স’-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চা-ছাঁকার’ দৃশ্য দাবানলের আগুনের মতো রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভোট-গুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ‘ইমেজ’ পুনরুদ্ধারে নেমেছেন মমতা। তা নিয়েই বিস্তর কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দোকানে বসে চা-চক্রে অংশগ্রহণ করা এবং দোকানে দাঁড়িয়ে চা-ছাঁকার মধ্যে তফাত আছে, তা নিজের মন্তব্যে-ই বুঝিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, “বাড়িতে তো চা করিই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.