দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত পাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)র। মনে করা হচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ব্যবহার করতেন। পণ্ডিতিয়া রোডের উপর তৈরি আবাসনে ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। প্রাথমিক খোঁজখবরের পর এখন ইডি আধিকারিকরা ওই বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার মতোই পণ্ডিতিয়ার ফ্ল্যাটেও কি মিলবে টাকার বান্ডিল! জল্পনা চরমে।
টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এ বার কি একই ঘটনা ঘটবে পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটেও? মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে ইডির একটি দল পৌঁছে যায় দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডে। সেখানে ‘ফোর্ট ওয়েসিস’ নামে অভিজাত আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে নজর পড়েছে ইডির। কারণ, ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। তাঁর কোনও হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। ইডি তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। অন্য দিকে, ফোর্ট ওয়েসিসে পৌঁছে প্রথমেই ইডি ডেকে পাঠায় আবাসনের ওই ব্লকের নিরাপত্তারক্ষীকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর ইডি যোগাযোগ করে গড়িয়াহাট থানায়। থানা থেকে ফোর্ট ওয়েসিসে চলে আসেন এক পুলিশ আধিকারিক। ডাকা হয় আবাসনের ম্যানেজারকেও।
এর পর শুরু হয় অর্পিতার ব্যবহার করা ফ্ল্যাটে ঢোকার প্রয়াস। এই প্রেক্ষিতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটের মতোই পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনের ফ্ল্যাটেও কি গচ্ছিত আছে নগদ কোটি কোটি টাকা! ইডি সূত্রে খবর, তাঁরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি খুঁজছেন। তবে ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজার পিছনে তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করছে, তা জানতে আরও বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। স্বভাবতই জল্পনা বাড়ছে, বুধবারও কি টাকা গোনার মেশিন নিয়ে পণ্ডিতিয়া রোডে ঢুকতে দেখা যাবে ব্যাঙ্ককর্মীদের?