আজ ২রা আগস্ট সকাল ৬ টা ২৫ মিনিটে চলে গেলেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় প্রিয় বিদ্যুৎ দত্ত, সংঘের প্রবীন প্রচারক, বিজেপির যুব শাখা যুব মোর্চার প্রথম রাজ্য সভাপতি, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন। অনেককে নিজের হাতে তৈরী করেছেন।
সঙ্ঘের মধ্যে কখনো বাঁকুড়া বিভাগ বা কখনো বীরভূম বিভাগ প্রচারক হিসাবে সফলতার সাথে কাজ করেছেন।
যেখানেই থাকতেন বা যে দায়িত্বেই থাকুন না কেন ফোনে সকলের সাথে সম্পর্ক রাখতেন,খোঁজ খবর নিতেন,উৎসাহ দিতেন।
আপন করে নেওয়ার অদ্ভুত গুণ তাঁর ছিল।
আমরা একজন আপনজনকে হারালাম।
ইংরেজী তে extra ordinary বলে শব্দ টা হয়তো ওনার জন্যই সঠিক।
সকলকে স্নেহ সূত্রে আবদ্ধ করে রাখার,পারিবারিক সম্পর্ক রাখার এক অনন্য উদাহরণ বিদ্যুৎ দা।
নিষ্ঠাবান সঙ্ঘ প্রচারক হিসাবে বাংলার প্রচারক দের মধ্যে অন্যতম আর লম্বা যাত্রা।
বাঁকুড়া ওনার প্রিয় জায়গা ছিল।
তাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে গোপালী আশ্রমে থাকার সময় যখন সঙ্ঘ কার্যালয়ে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন সকলের সাথে আলোচনা করে ওনার পুরানো জায়গা, যেখানে ওনার ভালো লাগবে, মন ভালো থাকবে সেই বাঁকুড়াতেই কেন্দ্র করা হল। শেষ পর্যন্ত আনন্দের সাথে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ছোট ছোট পুস্তিকা লেখার কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার এক উদাহরণ সমস্ত প্রচারকদের কাছে রেখে আজ সকলকে বিদায় দিয়ে পরলোকে গমন করলেন।
প্রেরণা কেন্দ্র ছিলেন।
ছোট ছোট শব্দে মজার কথা বলে সকলকে আনন্দ দেওয়ার অদ্ভুত কুশলতা ছিল। দুঃখী আত্মা সব ভুলে ওনার আসার পর সব ভুলে হাসতে হাসতে আনন্দ সহকারে কার্যালয় থেকে যেতেন। যাওয়ার সময় উনি নিশ্চিত একটা পুস্তিকা হাতে ধরিয়ে দিতেন।
সময়ে সময়ে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতেন,ভালো লাগতো।
ঈশ্বরের কাছে ওনার আত্মার চির শান্তি কামনা করি।
গত কয়েকদিন যাবৎ নার্সিংহোমে
চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বাঁকুড়াতে এক নার্সিংহোমে প্রবীণ প্রচারক বিদ্যুৎ দত্ত শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ বাঁকুড়াতে দাহ সংস্কার হবে ।
(বিদ্যুত মুখার্জীর স্মৃতিচারণ)