গত ৬ মাসে সর্বনিম্ন স্তরে বেকারত্বের হার। ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে এটি। সোমবার বেসরকারি সংস্থা, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) জানিয়েছে, জুলাই মাসে সামগ্রিক বেকারত্বের হার কমে ৬.৮০% হয়েছে। এটি জুনের তুলনায় ১% কম। গত জানুয়ারি ২০২২-এর এই হার ছিল ৬.৫৬%। তারপর থেকে এটি সর্বনিম্ন।
গ্রামীণ ভারতে, বেকারত্বের হার জুলাই মাসে ৬.১৪%-এ নেমে এসেছে। এটি আগের মাসে ৮.০৩% ছিল। জুলাইয়ের শেষের দিকে স্বাভাবিকের তুলনায় ৯% বেশি বৃষ্টিপাতকে এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। জুন মাসে বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায়, আগের মাসে গ্রামীণ বেকারত্বের হার বেড়েছিল।
জুন মাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আবির্ভাব হয়। খরিফ মরসুমের বপনের কাজ চলে। এই সময়ে বৃষ্টিপাতের উপর গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল।
শহরাঞ্চলের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে বেকারত্ব বেড়ে ৮.২১% হয়েছে। জুনে এটি ৭.৩০% ছিল।
সরকারি বার্ষিক পরিসংখ্যান:
গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ৫%(২০১৮-১৯) থেকে নেমে ২০২০-২১ সালে ৩.৩%-এ নেমে এসেছে। ২০১৯-২০২০ সালে এটি ৩.৯% ছিল।
শহরাঞ্চলের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬%। তার পরের বছরই সেটা ৬.৯%-এ নেমে আসে। ২০২০-২১ সালে এটি আরও কমে ৬.৭%-এ নেমে আসে।
জাতীয় পর্যায়ে, ২০১৮-১৯ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৮%। ২০১৯-২০ সালে তা কমে ৪.৮% এবং ২০২০-২১ সালে ৪.২% হয়ে যায়।
রাজ্যসভায় রামেশ্বর তেলি বলেন, এই তথ্য থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, গ্রামীণ এবং শহরে- উভয় ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরে বেকারত্বের হার হ্রাস পাচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কাজের পরিবেশের উন্নতি সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। সেই অনুযায়ী, ভারত সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার ব্যবসায় উত্সাহ প্রদান করতে এবং কোভিড-এর বিরূপ প্রভাব কমাতে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।