দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ইংল্যান্ড ইনিংসের ১১.৬ ওভারে ডেভিড মালান আউট হলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মইন আলি। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ১১২ রান। জনি বেয়ারস্টো তখন ২৭ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বেয়ারস্টোর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েই ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন মইন।
ইনিংসের ১৭.৫ ওভারে আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় মইনের নামের পাশে যোগ হয় ৫২ রান। ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে এই রান সংগ্রহ করেন তিনি। ১৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মইন। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
মইন সাজঘরে ফেরার সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ২১৮। বেয়ারস্টো ব্যাট করছিলেন ৪৬ বলে ৮২ রান করে। সুতরাং চতুর্থ উইকেটে মইন-বেয়ারস্টোর জুটিতে ১০৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড, যাতে জনির অবদান ১৯ বলে ৪৬ রান। ২টি নো-বল মিলিয়ে মাত্র ৩৭ বলে ৪টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে এই ১০৬ রান তোলে ইংল্যান্ড।
বোঝাই যাচ্ছে যে, ১২ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে মইন আলি ও জনি বেয়ারস্টো ব্যাট হাতে কেমন ধ্বংসাত্মক মেজাজে ধরা দেন। সঙ্গত কারণেই ইসিবি মইন-বেয়ারস্টো জুটির এমন তাণ্ডবলীলার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে।
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে। জনি বেয়ারস্টো ৯০, মইন আলি ৫২, ডেভিড মালান ৪৩ ও জোস বাটলার ২২ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৯ রানের বিনিময়ে একাই ৫টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রানে আটকে যায়। ত্রিস্তান স্টাবস ২টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৭২ রান করেন। এছাড়া রীজা হেনড্রিক্স ৫৭, এনরিখ ক্লাসেন ২০ ও ফেলুকওয়াও ২২ রান করেন। রিচার্ড গ্লিসন ৩টি এবং রীস টপলি ও আদিল রশিদ ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নিয়েছেন মইন আলি।
৪১ রানের জয়ে ইংল্যান্ড ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায়। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মইন আলি।