আজকের দিনে আমাদের কাছে অত্যন্ত দু:খের ও কষ্টের দিন ,২৮ শে জুলাই ২০০১ সালে রাষ্ট্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের চারজন প্রচারককে অপহরণ করে খুন করেছিল করেছিল খ্রিস্টান মিশনারীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ত্রিপুরার কমিউনিস্ট হার্মাদ বাহিনী। প্রত্যেককেই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই।
প্রেরণার উৎস –
“শুভংকর চক্রবর্তী” এ নামটি শুনলে ত্রিপুরার অনেক মা’ এর চোখ এখনো জলে ভরে উঠে। পুত্র স্নেহ যেন এখনো অমলিন। এখনো অনেক মা’ এই বলে স্মৃতিচারণ করে “কি সুন্দর যে গান গাইতো, বাড়িতে ঢুকেই মা’ বলে সজোরে ডাক দিত যেন এখনো কানে বাজে”।
যারা সম্পূর্ণ সমাজকে সু-সংগঠিত করে এ সমাজের মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তেমনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক তরুণ প্রচারক ‘শুভংকর চক্রবর্তী’ যার জন্মস্থান পশ্চিমবঙ্গ হলেও এ দেশ কে যারা নিজ মাতৃভূমি বলে ভাবেন শুভংকর দা তাদের মতোই একজন নিবেদিত প্রাণ।
তাই তো নিজ জন্মভিটা পরিবার ছেড়ে প্রচারক হয়ে বেড়িয়ে পড়েন। আর এ প্রত্যন্ত ত্রিপুরার সংঘের কাজে নিজেকে সমর্পণ করেন। ত্রিপুরার জাতি-জনজাতির বহু পরিবারের কাছে শুভংকর দা ছিল নিজের ঘরের ছেলের মতো।
জাতির শত্রুরা শুভংকর দা ও তাদের মতো নিবেদিত মানুষকে ভয় করতেন। ভয় করতেন এ কারণে যে তাঁদের মতো মানুষদের কারণে সেই অশুভ শক্তি গুলো দুর্বল হচ্ছিল। সে ভয় থেকেই সেই জঙ্গির দলেরা শুভংকর দা ও আরো তিন প্রচারক – দীনেন দে, সুধাময় দত্ত,শ্যামলকান্তি সেনগুপ্ত কে আজকের দিনে ৬ আগস্ট ১৯৯৯ সালে কাঞ্চনছড়া থেকে তাদের অপহরণ করেন এবং পরে উনাদের নির্মম ভাবে হত্যা করেন।
সেই অশুভ শক্তিরা ভেবেছিল সেই ৪ প্রচারককে হত্যা করেই এ বৃহত্তর কর্মযজ্ঞ কে রুখে দেবেন। তারা জানে না শুভংকর চক্রবর্তী’রা ত্রিপুরার বহু ঘরে আরো শুভংকর তৈরি করে গেছেন যারা তাদের ঐ স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
Bharat Mata Ki Joy
©️অতনু