কমনওয়েলথ গেমস শুরুর ঠিক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতী বক্সিং ফেডারেশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন লভলিনা বড়গোহাঁই। তিনি স্পষ্ট জানান যে, গেমস ভিলেজে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।
অলিম্পিক্স পজদকজয়ী ভারতের মহিলা বক্সারের আশঙ্কার কেন্দ্রে ছিলেন তাঁঁর ব্যক্তিগত কোচ সন্ধ্যা গুরুং, যাঁকে গেমস ভিলেজে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছিল না। ফলে তাঁর টুর্নামেন্টের প্রস্ততিতে বাধা পড়ছিল বলে দাবি করেন লভলিনা।
তারকা বক্সারের অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সর্বভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। তারা আপৎকালীন তৎপরতায় লভলিনার কোচের জন্য কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে ঢোকার অনুমতি আদায় করে নেয় আয়োজক সংস্থার কাছ থেকে। সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েও দেওয়া হয় ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।
আইওএ-র তরফে জানানো হয় যে, লভলিনার কোচ সন্ধ্যা গুরুংয়ের গেমস ভিলেজে উপস্থিত থাকার আবেদন জমা পড়ে দেরিতে। তবে তারকা বক্সারের সংশয়ের কথা বিবেচনা করে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা আয়োজক কমিটির কাছে বিশেষ আবেদন জানায় এবং শেষমেশ অনুমতি মেলে।
বক্সিং ফেডারেশনের তরফেও জানানো হয় যে, যেহেতু খেলোয়াড়ের অনুপাতে কোচিং স্টাফের সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছিল, তাই প্রাথমিকভাবে লভলিনার কোচকে গেমস ভিলেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়নি। তবে তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছিল। পরে বর্মিংহ্যাম আয়োজক কমিটির বিশেষ অনুমতিতে গেমস ভিলেজে সন্ধ্যা গুরুংয়ের থাকার ব্যবস্থা করা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গেমস শুরুর ঠিক আগে লভলিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি লেখেন, ‘আজ আমি খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। বারবার আমার কোচেদের সরিয়ে আমার ট্রেনিং এবং কম্পিটিশনে বাধা সৃষ্টি করা হয়। অথচ এই কোচেরাই আমাকে অলিম্পিক পদক জিততে সাহায্য করেছেন। এঁদের মধ্যে একজন কোচ সন্ধ্যা গুরুং’জি তো দ্রোণাচার্য পুরস্কারেও সম্মানিত।’
এখানেই না থেমে লভলিনা আরও যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কোচ সন্ধ্যা গুরুং’জি কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজের বাইরে রয়েছেন। ওনাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। টুর্নামেন্ট শুরু হতে মাত্র ৮ দিন বাকি। এখন আমার ট্রেনিং থমকে রয়েছে। আমার অপর কোচকেও ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও কোনও কথা শোনা হয়নি। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। বুঝতে পারছি না খেলায় মন দেব কীভাবে। এই সব কারণেই আমার শেষ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপও খারাপ হয়েছে। এই ঘৃণ্য রাজনীতির জন্য আমি আমার কমনওয়েলথ গেমস খারাপ করতে চাই না। আশা করি এই রাজনীতির বাধা ভেঙে আমি দেশের জন্য পদক আনতে পারব।’