এসএসসি দুর্নীতি মামলা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, ক্লাস না করে, প্রভাব খাটিয়ে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি জোগাড় করে ফেলেছিলেন। আর সেই ডিগ্রি প্রাপ্তির ঘটনায় সামনে আসছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন এক অধ্য়াপিকার নাম। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য পদেও আসীন তিনি। বালুরঘাটের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তিনি সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কেন তাঁর নাম সামনে আসছে?
সূত্রের খবর, সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাইড ছিলেন অধ্যাপক অনিল ভুঁইমালি। আর সেই সময় বিভাগীয় প্রধান ছিলেন সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবি পার্থকে বিশেষ সহায়তার বিনিময়ে উপাচার্য পদ পেয়েছিলেন দুজনেই। তবে সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায় এই দাবি মানতে চাননি। অনিল ভুঁইমালির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমি তো হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট ছিলাম। আমি তাঁর গাইড ছিলাম না। তিনি আমার ছাত্রও নন। আমাকে এনিয়ে প্রশ্ন করবেন না। আমি এর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। এর সঙ্গেই তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ম মেনেই গবেষণাপত্র পেশ করেছিলেন। পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। তিনি একা ঘরে পরীক্ষা দেননি। অন্যান্যরাও ছিলেন।
কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে সত্যি কি সব কিছু নিয়ম মেনে হয়েছিল? নাকি রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে অনিয়মটাই নিয়ম হয়ে যায় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কাছে? সাধারণ পিএইচডি স্কলার কি এই ধরণের সুবিধা পান? ইউজিসির নিয়মে কি কোথাও উল্লেখ আছে গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার জন্য় মন্ত্রীদের বাড়তি সুবিধা দিতে হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সাধারণ মানুষ।